আওয়ার ইসলাম: ইউরোপীয় ইউনিয়নের নবম বৃহত্তম আয়াতনের দেশ রোমানিয়াতে গত ১৪ জুলাই আলেকজান্দ্রা মাসেসানু নামের এক কিশোরীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। অপহরণের সময় দেশটির জরুরি সেবায় তিনবার ফোন করেও যথাযথ সহায়তা পায়নি মাসেসানু।
এই ঘটনাটি জানাজানি হলে জনতার ক্ষোভের মুখে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই পদত্যাগ করেন এবং পুলিশপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশপ্রধান পদত্যাগের পর বেফাঁস মন্তব্য করে জনতার তোপের মুখে পড়েন দেশটির শিক্ষামন্ত্রীও বরখাস্ত করল সরকার। বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ইকেতেরিনা আন্দ্রোনেস্কুও বলেছিলেন, অপরিচিত ব্যক্তির গাড়িতে উঠতে নেই। নিহত কিশোরী মাসেসানুকে এই শিক্ষা যথাযথভাবে দেওয়া হয়নি।
এই মন্তব্যের কারণে জনতার ক্ষোভের পাশাপাশি এই মন্তব্যকে একদমই ভালোভাবে নেননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিওরিকা দানচিলা। অপহরণ ও খুনের পর শিক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে 'বড় ভুল' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দানচিলা।
আন্দ্রোনেস্কু ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, এমন মন্তব্যও করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এর জের ধরেই গত শুক্রবার তাকে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই রোমানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দোবরোসলোভেনি থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক অপরিচিত ব্যক্তির গাড়িতে উঠেছিলেন মাসেসানু। ওখান থেকেই অপহরণের শিকার হন ওই কিশোরী।
অপহরণকারীদের জিম্মায় থেকেই পুলিশের জরুরি হটলাইনে তিনবার ফোন করেন মাসেসানু। পুলিশকে ফোন দেওয়ার পরেও ওই কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করতে বা পারায় জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে রোমানিয়া পুলিশ।
এই হত্যার ঘটনায় গিওর্গি দিনকা নামে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে রোমানিয়া পুলিশ। দিনকার বাড়ি থেকে কিশোরী মাসেসানুর ডিএনএ পাওয়া গেলে খুনের ঘটনা স্বীকার করে দিনকা। এই ঘটনা ছাড়াও ৮ বছর বয়সী আরেক কিশোরী লুইজা মেলেনকুকে হত্যার কথাও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন দিনকা।
আরএম/