আওয়ার ইসলাম: জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কমিটিতে বাংলাদেশ যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাকে অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড. শাহদীন মালিক।
শনিবার (৩ আগষ্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জেনেভায় দেয়া আইনমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে আইনজীবী হিসেবে আমি লজ্জা পেয়েছি।
জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী সনদের বাস্তবায়নের বিষয়ে ‘বাংলাদেশের সরকারের প্রাথমিক প্রতিবেদন: নির্যাতনবিরোধী কমিটির বক্তব্য ও আমাদের প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি।
শাহদীন মালিক বলেন, দেশে ন্যূনতম সুরক্ষা নেই। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও তার জন্য জবাবদিহি না থাকা হলো একটি রাষ্ট্র অকার্যকর হওয়ার বড় লক্ষণ।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই সোচ্চার না হলে, দেশ যেভাবে অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা রোধ করতে পারব না। আন্তর্জাতিক মহলে গিয়ে কিছু চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু নিজেদের মধ্যেও তো চেষ্টা করতে হবে। যারা চেষ্টা করছি সেটা আরও জোরদার করতে হবে। অধিকার নিশ্চিত না হলে গত ১০০ বছরে কোনো রাষ্ট্রের উন্নতি হয়েছে আমাদের কাছে এ ধরনের উদাহরণ নেই।
তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রতিবেদনে অনেক বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকারি প্রতিনিধিদল কমিটির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের আলোকে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অমর্যাদাকর আচরণ প্রতিরোধের বিষয়ে উল্লেখ করলেও নির্যাতন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও অন্যান্য সংগঠিত অপরাধের ব্যাপারে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ না নেওয়ার এবং দু একটা ঘটনা ছাড়া অপরাধীদের বিচারে সোপর্দ না করার বাস্তবতাকে আড়াল করতে সচেষ্ট ছিল।
তিনি বলেন, সুরক্ষা কমিটি মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরাট অংশ, ক্ষমতাসীনদের বহুলাংশ এবং স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন মহল আইন ও বিচারের ঊর্ধ্বে। অনেক প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না পাওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটির সমাপনী পর্যবেক্ষণেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, সাজ্জাদ হোসেন এবং নূর খান মিল্টন।
-এএ