আওয়ার ইসলাম: নগরে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে মশা নিধনে নতুন ওষুধের মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা চালিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)।
গতকাল শুক্রবার সকালে নগর ভবনের ফটকের সামনে তিনটি খাঁচার প্রতিটিতে ৫০টি করে মশা রেখে এ পরীক্ষা চালানো হয়।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, নতুন ওষুধ ছিটানোর ৩০ মিনিট পর খাঁচাগুলোয় যথাক্রমে ১৮, ২২ ও ২৬ শতাংশ মশা মারা গেছে। অর্থাৎ তিনটি খাঁচায় মাত্র ২২ শতাংশ মশা মরেছে। খাঁচার তিন ফুট দূর থেকে ওই নতুন ওষুধ ছিটানো হলেও ৭৮ শতাংশ মশা মরেনি।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা বলেন, গতকাল নগর ভবনের ফটকের সামনে মশারি দিয়ে তিনটি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটিতে ৫০টি করে মশা রেখে খাঁচা থেকে তিন ফুট দূরত্ব থেকে ফগার মেশিন কাঁধে নিয়ে সিটি করপোরেশনের একজন মশকনিধনকর্মী খাঁচার দিকে ওষুধ ছিটান।
সিটি করপোরেশনের ব্যবহার করা ওষুধে মশা মরে না। এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে নতুন ওই ওষুধের মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা চালানো হলো।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, মশা নিধনের ওই ওষুধ নিয়ে আসা হয় বিদেশ থেকে। তা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে। ‘বায়ার করপোরেশন’ কোম্পানির এ মশার ওষুধের ৩০ মিনিট পরীক্ষা শেষে সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ মশা মারা গেছে। পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা শেষে মাঠপর্যায়ে ওষুধের গুণগত মানের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।
এ সময় ভারতের কলকাতা থেকে আসা গবেষক দলের সদস্য শুভ দে জানান, মশার ওষুধ বৃষ্টির মধ্যে ছিটানো যাবে না। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার বেগে যখন বাতাস প্রবাহিত হয়, তখনো মশার ওষুধ ছিটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বায়ার করপোরেশনের ওষুধ মশকনিধনে কার্যকর। মশার ওষুধে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
-এএ