আওয়ার ইসলাম: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে হামলার আবশ্যিকতা থাকলেও নিজের যুদ্ধবিরোধী মনোভাব থেকে তিনি আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান চাইছেন। ওমানের মাধ্যমে তেহরানকে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
ইরানি কর্মকর্তারা এই বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে আলোচনার সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি সর্বোচ্চ নেতার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন তারা। ইরানের ওপর হামলা চালানো হলে বদলা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে তেহরান।
বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়,দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হরমোজগান রাজ্যের কুহমোবারক এলাকায় ‘আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক’ নামে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী।
প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশের অভিযোগ নাকচ করে তারা দাবি করেছে,আন্তর্জাতিক সীমার মধ্যে অবৈধভাবে ইরান তাদের ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
শুক্রবার (২১ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করারঘটনায় ইরানে সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রস্তাব অনুমোদনের পর শেষ মুহূর্তে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,বৃহস্পতিবার রাতে সামরিক হামলার অনুমতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রস্তুত ছিলো সামরিক বিমান ও জাহাজও। তবে শেষ মুহূর্তে অভিযান থেকে সরে আসেন তিনি নিজেই।
দুইজন ইরানি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক অভিযান থেকে সরে আসার খবর প্রকাশের পর ওমানের মাধ্যমে ইরানকে সতর্ক করেছেনট্রাম্প।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ট্রাম্প তার বার্তায় বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে কোনও ধরনের যুদ্ধে জড়াতে চাননি, বিভিন্ন ইস্যুতে তেহরানের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছেন। জবাব জানাতে আমাদেরকে তিনি অল্প সময় দিয়েছেন। তবে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক জবাব হলো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ নেতা (আয়াতুল্লাহ আলি) খামেনির ওপর নির্ভর করছে।’
আরেক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, নেতা যেকোনও আলোচনার বিরুদ্ধে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এ বার্তাটি তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অবশ্য আমরা ওমানি কর্মকর্তাকে এ কথাও বলেছি যে ইরানের বিরুদ্ধে কোনও হামলা হলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে নিউ টাইমস এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইরানি রাডার ও মিসাইল ব্যাটারি লক্ষ্য করে হামলার চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইরানের সেনাবাহিনী ও বেসামরিকদের ঝুঁকির মাত্রা কমাতে ভোরবেলাকে সম্ভাব্য অভিযানের সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
আরএম/