আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি জার্মানির হামবুর্গে আয়োজিত একটি এক্সপোর দৌলতে। বিমানের অন্দরসজ্জা বানায় যারা সেই সংস্থাগুলি তাদের নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছিল হামবুর্গের সেই এক্সপোয়। সেখানেই একটি সংস্থা দেখিয়েছে বিমানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সিট।
যার নাম- ‘স্কাইরাইডার ৩.০’। সংস্থাগুলির দাবি, এটাই বিমানের নতুন ধরনের সিটের তৃতীয় ও সর্বাধুনিক সংস্করণ। যাঁরা ‘আল্ট্রা বেসিক ইকনমি’ বা খুব সস্তায় উড়তে চান, গায়ে লাগে না এমন ভাড়া দিতে চান, বিমানে তাঁদের জন্য এ বার চালু হতে পারে এই নতুন ধরনের সিট।
যদিও সেই সিট নিয়ে ইতিমধ্যেই একের পর এক সমালোচনা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেরই অভিযোগ, ওই ধরনের সিটে বিমানে যাত্রীদের জন্য কম জায়গা ছাড়তে হবে বলে আরও বেশি যাত্রী নিতে পারবে উড়ান সংস্থাগুলি। কেউ কেউ বলছেন, এ বার জন্তু-জানোয়ারের মতো বিমানে যেতে হবে, সস্তায় আকাশে উড়তে চাইলে।
সেই সব অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ই ধরনের সিট বানায়, এমন একটি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাডভাইসার গ্যায়তানো পেরুগিনি। তিনি বলেন আমরা হাজার হাজার যাত্রীকে কেবিনে পুরতে চাই না।
বিমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্লাসের ব্যবস্থা রাখতে চাই। ভাড়া অনুযায়ী। যা এখনকার উড়ানগুলিতে সম্ভব নয়। একই কেবিনে থাকবেন সব যাত্রী। যারা স্ট্যান্ডার্ড ইকনমি বা প্রিমিয়াম ইকনমি ক্লাসে উড়বেন, তারাও যেমন থাকবেন সেই কেবিনে, তেমনই থাকবেন বিজনেস বা আল্ট্রা-বেসিক ইকনমি ক্লাসে যাওয়া যাত্রীরা। এটাই স্কাইরাইডার সিটের বিশেষত্ব।
-এটি