আওয়ার ইসলাম: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের তীব্র সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। ক্ষোপ প্রকাশ করে বাজেটে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ওপর ১০ ভাগ উৎসে কর ধার্য করায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে এ কর বাড়ানোর বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রীর স্কিম হিসেবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিতে কার্পণ্য না করা অর্থমন্ত্রীর বিধবা ও গ্রামীণ হতদরিদ্র নারীদের টাকার উপর চোখ পড়ার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এতোগুলো ভাল কাজ করার পর আপনি এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যেটা আমি সমর্থন করতে পারছি না। এ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর ৫ শতাংশের জায়গা ১০ শতাংশ করলেন। এটা সমর্থন করতে পারি না।
এ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রতো প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প। এর ওপর হাত দিলেন কেন? এর ওপর নির্ভর করে গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীরা। তিনি (অর্থমন্ত্রী) ওইখানে হাত দিলেন। যেখানে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, নানানভাবে সুবিধা দিচ্ছেন। কালো টাকা সাদা করা এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাস্তবতা হলো এ। কালো টাকা আছে, এটা কোনো রকমে খোয়াড়ে ঢোকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। এটা অস্বীকার করবো না। যেখানে শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন, যেখানে সরকারি-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন, যেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন; অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়ালেন, পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মালিক, এরাও তো বাজারের কাস্টমার, কেন সেখানে হাত দিতে গেলেন এটা আমি বুঝতে অক্ষম।
অর্থমন্ত্রী ব্যবস্থা নেবেন। আপনি সিলিংও বাড়াতে দিলেন না। ফিক্সড করে দিলেন, এর বাইরে আমি কিনতে পারবো না। আর আমার আপিলটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেবেন।
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, সঞ্চয়পত্রের লোকরাতো তার কাছে হাত পাততে পারে না। তারা কার কাছে হাত পাতবে। আমি একবার এ সংসদে বক্তব্য দেয়া পর একজন আমার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, উনারতো সাইড ইনকাম নেই। ঝাড়ু মারি সাইড ইনকামের, অসৎ পথে উপার্জনের। আমার বৈধ টাকা, সেখানে গিয়ে আপনি উৎস্যে কর কাটবেন, এটা ঠিক না।
-এএ