আওয়ার ইসলাম: দেশে ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা এবারের উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, নির্বাচনবিমুখতা জাতিকে গভীর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের অনিশ্চিত গন্তব্যে বাংলাদেশ। এই অবস্থা কখনও কাম্য হতে পারে না।
আজ বুধবার পাঁচ ধাপের ভোট শেষে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহবুব তালুকদার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ‘উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে আমার কথা’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
এতে তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে আশঙ্কার দিক হচ্ছে ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও জাতির জন্য নির্বাচনবিমুখতা অশনিসংকেত। যথোপযুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে।
‘আমরা গণতন্ত্রের শোকযাত্রায় শামিল হতে চাই না’ বলেও উল্লেখ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, স্থানীয় সরকারে কোনও বহিরাগতের হস্তক্ষেপের অবকাশ নেই। অন্য কারও হস্তক্ষেপ হলে উপজেলা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু স্বাভাবিক ও শুদ্ধ হবে না। এমতাবস্থায় স্থানীয় নির্বাচন বা উপজেলা নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবে হয়েছে কিনা এ প্রশ্ন থেকে যায়।
উপজেলা ভোটে ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের প্রভাব খাটানোর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাচন সংসদ সদস্যদের আওতামুক্ত না হলে তা কখনও অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাদের উপদেষ্টার ভূমিকা উপজেলা পরিষদের কৌলিন্য বিনষ্ট করেছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কোনো কোনও সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বা সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে হয়েছে।
মাহবুব তালুকদার জানান, বিরোধীদলগুলো অংশগ্রহণ না করায় এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল একতরফা।
এমন নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠের অভিমত এবং তা বহুত্ববাদের ভেতর থেকে উৎসারিত হতে হয়।
-এটি