আওয়ার ইসলাম: সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোহাম্মদ বিন সালমানকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা উচিত বলে মনে করে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির একটি ফরেনসিক প্রতিবেদন বলছে, তিনিসহ সৌদি আরবের জ্যেষ্ঠ নেতারা সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
খাশোগির সঙ্গে যা ঘটেছিল, তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণধর্মী শতাধিক পাতার একটি তদন্ত প্রতিবেদন বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাজনেস কলামার্ড বলেন, এ সাংবাদিককে হত্যা ছিল একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ।
তিনি বলেন, বিশেষ দূতের সিদ্ধান্ত হচ্ছে- উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, পূর্বপরিকল্পিত ও বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন খাশোগি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে সৌদি আরব এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
জাতিসংঘের বিশেষ দূতের প্রতিবেদন বলছে, রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে তুরস্ক ও অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন-খাশোগির শরীরে ঘুমের ঔষধ প্রয়োগ করা হতে পারে। পরবর্তী সময়ে প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাকে।
কীভাবে সৌদি সরকারের সমালোচকদের নিশানা করা হয়, প্রতিবেদেনে সেটাই বেশি আলোকপাত করা হয়েছে বেশি।
তদন্ত প্রতিবেদন দাবি করছে, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের ফোন হ্যাক করতে অত্যাধুনিক নজরদারি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সৌদি আরব।
যদিও খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি কী জানেন, তার ব্যাখ্যা দিতে তাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
এটাকে নীতিহীন অভিযান আখ্যায়িত করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কিছুই অবগত ছিলেন না বলে জানিয়েছে দেশটি।
-এএ