আওয়ার ইসলাম: কুড়িগ্রামের উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত ডাক্তার-কর্মচারী সংকটে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে প্রসূতি মায়েদের সিজারও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উলিপুর হাসপাতলে মঞ্জুরীকৃত পদেরসংখ্যা ৪২টি। যেখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (র্সাজারী) ডেন্টাল সার্জন, জুনিয়র কনসালটেন্টসহ (শিশু) ৪২ জন ডাক্তার কর্মরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমান কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন ডাক্তার।
চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী এম এল এস এস ৪ জনের স্থলে রয়েছে ২ জন, ওয়ার্ডবয় ৩ জনের স্থলে ১ জন, আয়া ২ জনের স্থলে ১ জন, নিরাপত্তা প্রহরী ২ জনের স্থলে ১ জন, কুক, মালি সহ ২২ জন কর্মচারী স্থলে কাজ করছেন মাত্র ১২ জন।
সরকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালে উলিপুর হাসপাতাল ৩০ শষ্যা থেকে ৫০ শষ্যায় উন্নীত হয়। উলিপুরে ১৩ টি ইউনিয়ন, ১টিপৌর শহরে ৫ লক্ষাধিক মানুষ বাস করে। প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তার সংকটে চিকিৎসা নিতে আসা গরিব-দুখী রোগীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
এদিকে হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের অপারেশনের (সিজার) জন্য ওটি রুম, ওটি লাইট, ছ্যাকার মেশিনসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ থাকার পরেও ২০১১ সাল থেকে এ্যানাসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার না থাকায় উলিপুরে প্রসূতি মায়েদের ৯ বছর ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে।
উলিপুর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সুবাস চন্দ্র সরকার জানান, চিকিৎসক সংকটে রোগীরা যেমন বিড়ম্বনায় পড়ছেন, ঠিক তেমনি আমরাও ভোগান্তিতে আছি। চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
-এটি