আওয়ার ইসলাম: সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় র্যাপিড অ্যাকশান ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান ও পাকিস্তান। আজ (সোমবার) ইরানের রাজধানী তেহরানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি এ তথ্য জানান।
রুহানি বলেন, দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবে। দুই দেশই সম্পর্ক উন্নয়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এবং তৃতীয় কোনো দেশ এ ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদারের উপযুক্ত ক্ষেত্র রয়েছে। ইরান পাকিস্তানের তেল চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে।
এ সময় ইমরান খান পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তেহরান ও ইসলামাবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কাশ্মির প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, কাশ্মির সমস্যার সামরিক সমাধান নেই। কাশ্মির সমস্যার সমাধান হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য জোরদার হবে। তিনি সবক্ষেত্রে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান।
পাক প্রেসিডেন্ট বলেন, এরপর থেকে যুদ্ধের জন্য কখনোই তার দেশে জোট বাহিনীর সাথে যুক্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রথম থেকেই আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন সেনাদের হস্তক্ষেপ ও উপস্থিতির ব্যাপারে বিরোধিতা করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং গোলান মালভূমিকে ইসরাইলি ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের ইশতেহার লঙ্ঘন করেছে। এধরণের কাজের দৃঢ় বিরোধিতা করছি।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একতরফা চুক্তি ভঙ্গে নিন্দা জানিয়ে বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্রবিধানের বিপরীত হিসেবে মন্তব্য করেন ইমরান খান।
সূত্র: ইকনা।
আরএম/