আওয়ার ইসলাম: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলাবার (২৬ মার্চ) টংভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর করে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার আমতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক।
মঙ্গলাবার সকালে মাদক মামলার তালিকাভুক্ত আসামি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক শিবির ক্যাডার সদরুল আমিন রিপন তার ছোট ভাই খোকনসহ কয়েকজন আসাদুজ্জামান সাজুর ওপর এ হামলা চালায়। আসাদুজ্জামান সাজু দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি।
এ সময় দৈনিক আমাদের সময়ের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি নুরনবী সরকার ও পথচারী শরীফ মোল্লা হামলার শিকার হন। আসাদুজ্জামান সাজু ও শরীফ মোল্লা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
গতকাল বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের সভায় না ডাকায় উভয় পক্ষের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন দলীয় অফিস ত্যাগ করেন। ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু গ্রুপের নেতা কর্মীরা সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে শহরে মিছিল করে। এ সময় অপর দিক থেকে সরওয়ার হায়াত খানের গ্রুপের লোকজন স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে এলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরএইচ/