আওয়ার ইসলাম: ইসলাম প্রচারে কাজ করেন বলে সমাজের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব হলো আলেম-ওলামাদের সম্মান করা, এ মন্তব্য ফেনী–২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
জঙ্গি অভিযানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযানগুলোতে প্রমাণিত হয়েছে, মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গিবাদে জড়িত নয়; বরং সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত যুবকরাই বেশি জঙ্গিবাদে জড়িত।’
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ফেনী মিজান ময়দানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ করছে, তাদের শেকড় উপড়ে ফেলছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘দেশের আলেম-ওলামাদের প্রতি প্রচণ্ড ধরনের দরদ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার; যা এর আগে আর কোনো সরকারপ্রধানের ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই শেখ হাসিনা কাওমি সনদের অনুমোদন দিয়েছেন। আর সে কারণেই আলেমরা তাকে কাওমি জননী আখ্যা দিয়েছেন।’
নিজাম হাজারী বলেন, ‘ক্বেরাত সম্মেলনের এ উদ্যোগ যুগান্তকারী। এর মাধ্যমে মানুষ সহিহ কোরআন তিলাওয়াত শুনতে ও জানতে পারবে।’
ফেনীর ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে ৩য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে এ আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন। এ সম্মেলনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন সংস্থার ফেনী জেলা শাখা। শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ক্বেরাত সম্মেলনের কার্যক্রম চলে।
ফেনী দারুল উলুম আল-হোসাইনিয়া ওলামা বাজার মাদ্রাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা নুরুল ইসলাম আদিব (দা.বা.) সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন তানজানিয়ার শায়খ ক্বারি রেজা আইয়ুব, ভারতের শায়খ ক্বারি তৈয়ব জামান, লন্ডনের ক্বারি আউয়ুব আসিফ, ইন্দোনেশিয়ার ক্বারি দারভির হাসভিন, শায়খ ক্বারি সালমান আমিরুল্যাহ, মিশরের শায়খ ক্বারি ইয়াহইয়া শারকাভি, ক্বারি উসামা আল হাওয়ারি, কানাডার ক্বারি মোজাম্মেল হোসাইন, ঢাকার ক্বারি সাঈদুল আসলাম আসাদ ও চট্টগ্রামের ক্বারি আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
কেপি