আওয়ার ইসলাম: দিনাজপুরে ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর অভিযুক্ত শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে (৪৮) হাতেনাতে ধরেছে এলাকাবাসী। পরে থানায় খবর দিয়ে তৌহিদুল ইসলামকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলায় শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের রামনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শহরের রামনগর গোলাপবাগ মামুনের মোড় এলাকার ওই শিশু রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। শিশুটি বিদ্যালয় থেকে ফিরে প্রতিদিন শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের বাড়িতে পড়তে যায়।
বুধবার বিকেলেও তৌহিদুল ইসলামের বাড়িতে পড়তে যায় শিশুটি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সব শিশুকে ছুটি দিলেও ওই শিশুকে ছুটি না দিয়ে থাকতে বলে শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম। সবাই চলে গেলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে তৌহিদুল ইসলাম।
এদিকে, বাড়ি আসতে দেরি দেখে শিশুটির মা ওই শিক্ষকের বাড়িতে যান। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনতে পান মা। দৌড়ে গিয়ে শিক্ষকের ঘরে ঢুকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এ অবস্থা দেখে চিৎকার দেন শিশুটির মা। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
পরে থানায় খবর দিলে ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিশুটিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেদওয়ানুর রহিম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়া শিক্ষককে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরআর