বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জ জাতীয় জুটমিলে আগুন, ৪ ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিরাজগঞ্জ জাতীয় জুটমিলস-এ (কওমি জুট মিলস) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এখানে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা সাড়ে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

সিরাজগঞ্জ দমকল বাহিনীর উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, তার নেতৃত্বে জেলা সদর ও আশেপাশের উপজেলার ৫টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই আগুনে পুড়ে যায় পাটের বেল। এ ছাড়া, মিলের উৎপাদনকৃত যন্ত্রপাতির যেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তেমনি এ ঘটনায় কেউ হতাহতও হয়নি।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোকাররম হোসেন বলেন, পাটের বেলের কিছুটা ক্ষতি হলেও মিলের ভেতরের মেশিনপত্রের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বা প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।

মিলের প্রকল্প প্রধান আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘উৎপাদনকৃত পাটের বেল গোডাউনে রাখার পরও জায়গা না পেয়ে মিলের মধ্যে রাখা হয়েছে। আমরা সবসময়ই বিজেএমসিকে তাগিদ দিচ্ছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা কর্ণপাত করছে না। আজ যদি তারা উৎপাদনকৃত পাটের বেল সময়মত ডেলিভারি নিতো, তাহলে এমন ক্ষতি হতো না।’

সিরাজগঞ্জ জাতীয় জুটমিলস, শ্রমিক লীগের স্থানীয় সভাপতি আওরাঙ্গ আজিজ স্বপন বলেন, ‘গোডাউনে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় প্রায় ১৫/১৬ হাজার বি-১২ পাটের বেলসহ প্রায় ৬০/৬৫ কোটি টাকার উৎপাদনকৃত পাটজাত পণ্য মিলের ভেতর যত্রতত্র রাখা আছে। বিজেএমসি এগুলো সময়মত সরবরাহ করতে পারলেও আজ এ ক্ষতি হতো না। মিলের ভেতরে উৎপাদনকৃত পাটের বেল মেশিনের পাশে স্তুপাকার করে রাখায় সবসময় ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি আমরাও সবসময় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় ভয়ে থাকি। বিজেএমসির উদাসীনতার কারণে স্তুপাকার করে রাখা পাটের বেল সরবরাহ করা হচ্ছে না, অন্যদিকে নতুন উৎপাদনও থমকে গেছে।’

আগুনের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি দমকল বাহিনী বা মিল কর্তৃপক্ষ। তবে মিল কর্তৃপক্ষের ধারণা, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুন লাগে। দমকল বাহিনীর লোকজনের ধারনা, দীর্ঘদিনের উৎপাদনজাত পাটজাতপণ্য বা বেল গোডাউনে না রেখে মিলের ভেতর যত্রতত্র স্তুপাকার করে রাখায় আগুনের ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়াবহতা দুটোই বেড়েছে।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ