বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

কবিরহাটের গণর্ধষণ, ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নোয়খালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে ঘরের সিঁধকেটে তিন সন্তানের জননী (২৯)কে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিন আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

এদিকে রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবি করে মামলা থেকে তাদের অব্যহতি চেয়ে আবেদন করেছেন ধর্ষিতা গৃহিনী।

গতকাল সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আবদুর রব মান্না, হারুন অর রশিদ ও মুহাম্মদ সেলিমকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নবনিতা গুহ শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেককে ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ডিবি পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, মান্না, সেলিম ও হারুনকে ৭দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সেই নারী জানান, আসামী জাকির হোসেন জহির মনগড়া জবানবন্দি দিয়ে তার নিরপরাধী আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করিয়েছে। এ ঘটনার সাথে তারা কেউই জড়িত নয় ও তাদের বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই। ঘটনার সময় ওদের কাউকে তিনি দেখেনি বলেও জানান।

গতকাল সোমবার মামলার বাদীর পক্ষে আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ আদালতে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন আসামী জাকির হোসেন জহির উদ্দেশ্য মূলকভাবে বাদীনির পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য ঘটনায় বাদীনির দেবর আবদুর রব মান্না, মামা হারুন অর রশিদ ও জেঠাতো ভাই মো. সেলিমকে জড়িয়েছে। আবেদনে এ মামলা থেকে উক্ত ব্যক্তিদের অব্যহতি চাওয়া হয়েছে।

ঘটনার পরের দিন দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন জহিরের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যমতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতিতা ওই নারীর দেবরসহ নিকটতম ৩আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করে।

জহির গত রো্ববার ১৬৪ধারা আদালতে জবানবন্দি দেয়। জহির তার জবানবন্দিতে জানায় এ ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারী ভিকটিমের দেবর আব্দুর রব হোসেন প্রকাশ মান্না। তারা দু’জন ছাড়াও ঘটনার সাথে মো. সেলিম, হারুন অর রশিদ ও জামাল উদ্দিন জড়িত ছিল।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ