আওয়ার ইসলাম: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৩নং চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ছালাম হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ (২৮) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
নিজের স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত এমন অভিযোগেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ১০ মাস পূর্বে উল্লেখিত রিয়াজের সঙ্গে একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ৭নং কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরমিয়ার মেয়ে মোসা. ইতি বেগমের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্ব থেকে ইতি বেগমের সঙ্গে একই এলাকার মো. বাদশা মিয়ার ছেলে সাইফুলের (২৮) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বিয়ের পরেও সাইফুলের সঙ্গে ইতি বেগম যোগাযোগ রাখত বলে রিয়াজের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই সম্পর্কের অবনতি ঘটত। তারই ধারাবাহিকতায় ১৩ জানুয়ারি রিয়াজ শ্বশুর বাড়িতে গেলে সেখানে বসে স্ত্রী ইতি বেগমসহ ইতি বেগমের পরিবারের সঙ্গে রিয়াজের তর্ক হয়। একপর্যায় রিয়াজের স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন রিয়াজকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
পরে ঘৃণায় ওই দিনই রিয়াজ পার্শ্ববর্তী চরদুয়ানী বাজার থেকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট (চাউলের ট্যাবলেট) ক্রয় করে সেবন করে। তাৎক্ষণিক রিয়াজকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে রিয়াজের বাবা মো. ছালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য ছেলের স্ত্রী ইতি বেগম ও ইতি বেগমের পরিবার দায়ী।
তিনি বলেন, ইতি বেগমের পরকীয়ার কারণেই আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে, তাই আমি এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেব।
আরআর