ইকরামুল হক চট্টগ্রাম প্রতিনিধি> আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল জামিয়া আল ইমলামিয়া (জমিরিয়া কাসেমুল উলুম) পটিয়ার শায়খুল হাদিস ও মহা-পরিচালক আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী বলেন, আলেম-ওলামা ব্যতিত তাবলীগের মেহনত কখনো সহিহ ঈমান আমলের মারকায হতে পারে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার মাগরিবের পরে পটিয়াস্থ খরনা ইসলামিয়া মাদরাসায় জামে মসজিদে তাবলীগের মারকায (পটিয়া-চন্দনাইশের তাবলীগের মারকায) গঠনের সিদ্ধান্তগ্রহণ বিশেষ জোড়ে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন এদেশে ছোট বড় ৭৫.০০০ হাজার কওমি মাদরাসার আছে। হক্কানী রব্বানী আলেম-ওলামা ছাড়া কখনো সহীহ ঈমান আক্বিদার উপর অবিচল থাকা সম্ভব নয়। হযরত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলবির রহ. তাবলীগ ছিলো কেবলমাত্র আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের আদর্শে নিজের জীবনে বাস্তবায়ণ করা। কথাপ্রসঙ্গে তিনি বলেন ছরখা (তৎকালীন সুতো তুলার একটি বিশেষযন্ত্র) থেকে কেবল মাত্র একজনই সুতো তুলতে পারবে।
যদি অনাবিজ্ঞদের দিয়ে ছরখা থেকে সুতো তুলার চেষ্টা করলে সুতো তো উঠবেই না, ছরখাও থাকবে না। ছরখার নিয়মানুযায়ী যদি সুতো তুলা না হলে যেমন ছরখা নষ্ট হবে। তেমনি দাওয়াতে তাবলীগের মেহনত সহীহ কুরআন হাদীসের মতবাদে পরিচালিত না হাজার বছর মেহনত করলেও ফলাফল শুন্য হবে।
তিনি আরো বলেন, কওমি মাদরাসার আলেম-ওলামারাই উপমহাদেশ থেকে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত আরম্ব করেছেন। দাওয়াত ও তাবলীগের প্রথমদিন থেকেই আলেম-ওলামারা সমৃক্ত রয়েছে। আজ বহুবছর পর যদি বলে, কওমি মাদরাসার সাথে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত সম্পর্ক নেই, বুঝতে হবে সে নব্য ফিৎনাবাজ। আর এসব ফিৎনাবাজরাই গেল ক'সাস আছে কাকরাইল মারকাযে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মাদরাসার ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে।
তাছাড়া তিনি সর্বস্থরের মুসলমানকে কুরআন হাদীসের জ্ঞানসম্পন্ন আলেম-ওলামার পরামর্শক্রমে পরিচালিত তাবলীগের সাথে মেহনতে জোরদার করার আহ্বান করে বলেন, সর্বদা তিনটা দিক সামনে রেখে অপর ভাইকে সহিহ ঈমান আমলের পথে দাওয়াত দিতে হবে। ১. দারুল দেওবন্দের মতবাদ স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে। ২.আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আক্বিদা পোষণ করে দাওয়াতের কাজ করতে হবে। ৩. ছয় উসুলের উপর আমল করতে হবে।
বিশেষ জোড়ে জামিয়া আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ক ও সিনিয়র মুহাদ্দিস, চট্টগ্রামের তাবলীগের শু'রার সদস্য মাওলানা মুফতি জসিম উদ্দিন, আল জামিয়া আল ইমলামিয়া (জমিরিয়া কাসেমুল উলুম) পটিয়ার সহকারী পরিচালক মাওলানা আবু তাহের নদভী, চন্দনাইশ দোহাজারী আজিজিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার নির্বাহী পরিচালক মাওলানা আব্দুন নুর।
সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, চন্দনাইশ মুরাদাবাদ আজিজিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ তাহের আজিজী, শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মফজল আহমদসহ পটিয়া চন্দনাইশের বিভিন্ন মাদরাসার প্রতিনিধিদল, শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্থানীয় আলেম-ওলামা ও দাওয়াতে তাবলীগের সাথীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এএ