আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার ‘মূলহোতা’ মো. রুহুল আমিনসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জানুয়ারি) গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতার মো. রুহুল আমিন ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ইন্ধনদাতা রুহুল আমিনকে সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া এজাহারভুক্ত অন্য আসামি বেচুকে জেলার সেনবাগ উপজেলার খাঁজুরিয়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে রাত ২টার দিকে গ্রেফতার করা হয়।’
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিন জন হলো- মামলার প্রধান আসামি মধ্য বাগ্যা গ্রামের বাসিন্দা সোহেল, মামলার তিন নম্বর আসা চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের স্বপন (৩৫) ও মামলার ছয় নম্বর আসামি বাদশা আলম ওরফে বাসু।
এদিকে, হাসপাতালে ওই নারীকে দেখতে গিয়ে ডিআইজি গোলাম ফারুক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তারা যে দলের বা যত প্রভাবশালীই হোক, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা পুলিশের দায়িত্ব।’
ওই নারীর স্বামীর অভিযোগ, ধানের শীষে ভোট দিতে দেখে ওই নারীকে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে রাত ১২টায় কয়েকজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। পরে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ওই নারী ও তার স্বামীকে গালাগালিকরে ও অস্ত্র দেখিয়ে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে সবাই মিলে ধর্ষণ ও বেদম প্রহার করে।পরে ওই নারীকে গলাকেটে হত্যারও চেষ্টা করে হয় বলেও জানান তিনি।