আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রুহুল আমিন ও বেচু। পুলিশ জানায় ভোরে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ৫ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রোববার মধ্যরাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে স্বামী ও সন্তানকে ঘরে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এ ধর্ষণ হয় বলে অভিযোগ উঠে। সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন।
পরদিন স্থানীয় লোকজন ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।
গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ জেলা সদরে অভিযান চালিয়ে একটি হাঁস-মুরগীর খামার থেকে রুহুল আমিনকে এবং সেনবাগের একটি ইটভাটা থেকে বেচুকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে মামলার প্রধান আসামি সোহেল, তিন নম্বর আসামি স্বপন ও ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুহুল আমিন ছাড়া বাকিরা সবাই ইটভাটার শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার রাতে পুলিশের চট্টগাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর সাথে দেখা করেন।
ঘটনার তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধূর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর জানান, ভুক্তভোগীর সই ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন তারা।
-এটি