আওয়ার ইসলাম: হবিগঞ্জে ইসলাম ও জেনারেল শিক্ষার জন্য ‘ইকরা বাংলাদেশ স্কুল’ অনন্য এক ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্কুলের প্রধান উপদেষ্টা মশিউর রহমান শামিম।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকে মক্তব ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। মসজিদ ভিত্তিক শিশু শিক্ষাও আগের মতো নেই। সেখানে ইকরা বাংলাদেশ হবিগঞ্জ একসঙ্গে ইসলাম ও জেনারেল শিক্ষার পড়াশোনা উপহার দিচ্ছে।হবিগঞ্জে ইকরা সুনাম অর্জন করেছে।
৩ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইকরা বাংলাদেশ স্কুল আয়োজিত বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সবক উদ্বোধনী মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আমরা এমন স্কুল চাই যেখানে আদব শিক্ষা দেবে। কেবল বইয়ের ভেতরই ডুবিয়ে রাখবে না। ইকরা বাংলাদেশ হবিগঞ্জ সে ধারারই একটি স্কুল।
সাবেক শিক্ষা অফিসার ফরিদ আহমদ বলেন, প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণই আলোকিত মানুষ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। ইকরা জেনারেল ও ইসলামি শিক্ষার আলোর বিচ্ছুরণে আমি মুগ্ধ।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহ ফখরুজ্জামান বলেন, হবিগঞ্জের এই ইকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে একটি মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইকরার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করছি।
মাওলানা বদরুল আলম বলেন, ইসলামের শিক্ষার জন্যই আল্লাহ তাআলা বান্দাকে মনোনীত করেছেন।
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের পাঠ উন্মোচন করেন সাবেক শিক্ষা অফিসার ফরিদ আহমদ। কুরআনের সবক উদ্বোধন করেন প্রিন্সিপাল ও সাংবাদিক মাওলানা মাসউদুল কাদির।
স্বাগত ভাষণে তিনি বলেন, ইকরা স্কুলের মূল ধরনই হলো জেনারেল ও ইসলাম শিক্ষার সমন্বয়।পরিকল্পিত শিক্ষা সমন্বয়ের একটি বিপ্লব হলো ইকরা। হযরত আসআদ মাদানী রহ.-এর চিন্তা ও আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ প্রণীত সিলেবাসে অনন্য এক ভূমিকা দেশে পালন করে চলেছে।ইকরা সিলেবাসে পড়ে একটি শিশু কেবলই জিতে। জীবনে আলো খুঁজে পায়।
কেন্দ্রীয় ইকরার পরীক্ষায় মেধা তালিকায় জায়গা পাওয়ায় এগারজন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়ায় নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণির সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়।
মাওলানা শেখ শরিফ হাসানাতের উপস্থাপনায় সবক উদ্বোধনী মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, এডভোকেট তুরাব আলী খন্দকার, মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মাওলানা আজিজুর রহমান, মুফতি জুলকার নাইন, ডাক্তার রেজাউল করীম, মুফতি আনোয়ার আমির প্রমুখ।