আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮টি আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়টিতে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বাকি দুটিতে ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম জয়ী হয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে পর্যায়ক্রমে ফল ঘোষণা করা হয়।নির্বাচন কমিশনের ফলে বেসরকারিভাবে জয়ী ঐক্যফ্রন্টের ৮ পার্থী হলেন-
মোশাররফ হোসেন-বগুড়া-৪ (ধানের শীষ)। নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২২ ভোট পেয়েছেন মোশারফ হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৬৭৯ ভোট।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-বগুড়া-৬ (ধানের শীষ)। এ আসনে বিএনপি মহাসচিব পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৯৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম ওমর পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৬১ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান ৮৭,১৬৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী পেয়েছেন ৭০৯ ভোট।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের আব্দুল ওয়াদুদ পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৯৩৮ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ১ লাখ পঁচাত্তর হাজার ৪৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫২ ভোট।
বগুড়া-৭ আসনে (ধানের শীষ) রেজাউল করীব বাবলু জয়ী হয়েছেন।
সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ-মৌলভীবাজার-২ (ধানের শীষ প্রতীকে গণফোরাম)। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি ৭৯ হাজার ৭৮২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট মনোনীত বিকল্পধারার প্রার্থী এম এম শাহীন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১৪৭ ভোট।
মুকাব্বির হোসেন খান-সিলেট-২ (উদীয়মান সূর্য প্রতীকে গণফোরাম)। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত এই প্রার্থী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব প্রতীকে মুহিবুর রহমান ৩০ হাজার ৪৪৯ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই।
-এটি
