আওয়ার ইসলাম: আল নুর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশ শাখার উদ্যোগে আরবি ভাষা চর্চা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকার মাতুয়াইলে অবস্থিত আল নূর এডুকেশন কমপ্লেক্সে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তাগণ বলেন, সরকারিভাবে কওমি মাদরাসা সনদকে আরবি সাহিত্যে মাস্টার্সের মান দেয়ায় কওমি শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ বেড়ে গিয়েছে। তাই আরবি চর্চার মান বাড়ানো সময়ের দাবি।
তারা আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত ঢাকায় আরবি ক্লাব গড়ে ওঠেনি। আরবি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে আল নূর সেন্টার উদ্যোগী হতে পারে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা মানারুশ শারক মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও এশিয়ান ইউনিভসিটির লেকচারার মাওলানা শরাফতুল্লাহ নদভী।
প্রধান অতিথি ছিলেন কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের খতীব ও আরবী ভাষা প্রশিক্ষক এবং আল নূর কালচারাল সেন্টার, কাতার কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর।
আরবী প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরবী ভাষা ও সাহিত্য কেন্দ্র বাংলাদেশ এর পরিচালক মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী।
আরবী আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মাদরাসাতুল হুদার আরবী বিভাগের শিক্ষক মাওলানা আবদুল্লাহ আমীন আল-আযহারী, কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের ইমাম ও খতীব মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
উপস্থাপনায় ছিলেন আল নূর কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশ শাখার সংস্কৃতি বিষয়ক পরিচালক মাওলানা আনসারুল হক ইমরান। সেমিনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাওলানা ইসহাক।
মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ও গঠনমূলক সাহিত্য চর্চা আল নূরের অন্যতম মিশন। বাংলাদেশের আরবি শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে আরবি রচনা ও বক্তব্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
এ লক্ষ্যে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা উবায়দুর রহমান নদভীকে আহবায়ক ও মাওলানা শরাফতুল্লাহ নদভীকে সদস্য সচিব, মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকী ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আমীন আযহারীকে নির্বাহী সদস্য করে আল নূর জাতীয় আরবী প্রতিযোগিতা বিষয়ক কমিটি গঠন করা হয়।
সেমিনারে ড. উমর সুলাইমান আল আশকার রচিত ও মাওলানা ইউসুফ নূর অনুদিত ‘মানব স্বাধীনতায় ঈমানের অবদান’ নামক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ইজতেমার মাঠ দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: এমন বর্বরতা জীবনেও দেখিনি
আরআর