আবদুল্লাহ তামিম: বিশ্বের প্রথম সার্ফেস-টু-সার্ফেস ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক রকেট তৈরি করছে চীন। যেগুলো অনেক বেশি দূরে গিয়ে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে।
পাশাপাশি এসব রকেট হিমালয় ও তিব্বতের মালভূমিতে মোতায়েন করা হলে তা যুদ্ধের সময় চীনের সেনাবাহিনীকে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে। এই রকেট সিস্টেমের নিখুঁত পাল্লা ও মোতায়েনের সময়সূচি এখনো পরিস্কার নয়।
কিন্তু এই কর্মসূচির প্রধান বিজ্ঞানী হান জুনলি রাষ্ট্র পরিচালিত ‘সাইন্স অ্যান্ড টেকনলজি ডেইলি’কে বলেন যে রকেটটি নির্মাণে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে। প্রচলিত রকেট প্রাথমিক শক্তি লাভ করে বিস্ফোরক থেকে।
কিন্তু নতুন রকেটগুলো ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক ফোর্স থেকে বাড়তি শক্তি পাবে। এটা ঠিক ক্যাটাপুলেট ল্যান্সারের মতো, যা পরবর্তী প্রজন্মের বিমানবাহী রণতরিতে ব্যবহারের জন্য চীন ও আমেরিকা তৈরি করছে।
রেলিগান তৈরিতেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। হান বলেন, ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক ক্যাটাপুলেট সিস্টেম একটি রকেটকে উৎক্ষেপন পর্যায়ে খুবই তীব্র গতি প্রদান করতে পারে।
অনেকেই মনে করেন, চীনের পরবর্তী নিজস্ব তৈরি এয়ারক্রাফট কেরিয়ারকে ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক ক্যাটাপুলেট ল্যান্সারে সজ্জিত করা হতে পারে।
বেজিংয়ের সামরিক বিশেষজ্ঞ ঝু চেনমিং বলেন, ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক ক্যাটাপুলেট উৎক্ষেপনকালে রকেটকে অনেক বেশি স্থিতিশীলতা দেবে এবং নির্ভুলতা বাড়াবে। এরপরও এগুলো হবে ব্যয়সাশ্রয়ী। কম নির্ভুল হলেও ক্ষেপনাস্ত্রের চেয়ে রকেট অনেক সস্তা।
কিন্তু এগুলো ব্যাপক সংখ্যায় মোতায়েন করা হলে তা বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালানোর মতো যথেষ্ঠ পারদর্শিতা দেখাতে পারে।
এসব নতুন ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক রকেট তিব্বত অঞ্চলে মোতায়েন করা হতে পারে। এগুলোর পাল্লা হবে কয়েক শ’ কিলোমিটার এবং তা ভারতের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানতে পারবে।
সূত্র: সিএনএন
এখন ব্যবসার হিসাব হবে সফটওয়ারে – বিস্তারিত জানুন
আরো পড়ুন-
তালাকের মহামারি; সমাজের দুই বাহুর ভাবনা!
বিশ্বমুহাম্মদ সা. এর ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিবাদে উত্তাল
এটি/আওয়ার ইসলাম