আওয়ার ইসলাম: ডিজিটাল ভোট কারচুপির অসৎ উদ্দেশ্য থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে আসার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার মাত্র দুই মাস আগে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব গ্রহণ করে নির্বাচনী পরিবেশকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ না করে উল্টো ইভিএম ব্যবহারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিজেদেরকে আরো বেশি বিতর্কের মধ্যে ফেলেছে।
আজ (২ সেপ্টেম্বর) রবিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জমিয়ত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে প্রায় সব দলই ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে নির্বাচনে এই পদ্ধতির প্রয়োগ হবে না বলে তখন নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছিল। এখন তারা সরকারের ইশারায় তড়িগড়ি করে ইভিএমকে ভোটারদের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ব্যালটের মাধ্যমে যখন ভোট গ্রহণ করা হয়, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী কর্মকর্তা ব্যালট বাক্সটিকে প্রার্থীদের এজেন্টদের সামনে উন্মুক্ত করে দেখান যে, বাক্সে কোন কিছু পূর্ব থেকে রাখা নেই।
কিন্তু ইভিএম এর ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে দেখাবেন যে, সফটওয়্যারের সোর্স কোডে কী আছে না আছে বা কন্ট্রোল ইউনিটের চিপ কীভাবে প্রোগ্রাম করা আছে?
একজনকে ভোট দিলে আরেকজনের মার্কায় ভোট পড়বে না, পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রামিং এর কারণে কোন সুনির্দিষ্ট মার্কায় ১০টা ভোট পড়লে তাতে ইলেক্ট্রনিক উপায়ে বাড়তি বা কমতি ভোট গণনা হবে না- এই নিশ্চয়তা ভোটারদের কাছে নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে কীভাবে নিশ্চিত করবেন?
আল্লামা কাসেমী বলেন, অস্বচ্ছ ও ঘোরতর সন্দেহজনক হওয়ার কারণে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের হঠকারি সিদ্ধান্ত জনগণ কখনোই মেনে নেব না। আমরা দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং সেনাবাহিনীর পাহারায় স্বচ্ছ উপায়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন দেখতে চাই।
এখন ব্যবসার হিসাব হবে সফটওয়ারে – বিস্তারিত জানুন
আরো পড়ুন-
তালাকের মহামারি; সমাজের দুই বাহুর ভাবনা!
বিশ্বমুহাম্মদ সা. এর ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিবাদে উত্তাল
এটি/আওয়ার ইসলাম