শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিন্ময়সহ ১৭ ইসকন সদস্যের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন

চীনে জোর করে ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: চীনের উত্তর-পশ্চিম দিকের জিজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী মুসলমানরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন। তাদের জোর করে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

আমেরিকা ও ব্রিটেনের সরকারি একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই মুহূর্তে প্রায় এক লক্ষ মুসলিম চীনের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ উইঘুররা জানান,  কয়েক মাস ধরেই সেখানে মুসলিমদের অন্যধর্মে দীক্ষিত করার জন্য মতদীক্ষাদান শুরু করা হয়েছে।

তাদেরকে জোর করে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। নিজেদের ধর্ম ও বিশ্বাসের সমালোচনা করতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতিদিন কমিউনিস্ট পার্টির নীতি-আদর্শগত গান দীর্ঘক্ষণ ধরে গাইতে বাধ্য করা হয়।

শুয়োরের মাংস ও মদ খেতে বাধ্য করা হচ্ছে। যে দুটি খাবার ইসলাম ধর্মের ঘোর বিরোধী। অন্যথায় তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়।

অন্যদিকে চীন তাদের জনসংখ্যা নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। মুসলিমদের দাবী উড়িয়ে তারা জানাচ্ছেন, স্কুল বা হাসপাতালে এই ধরনের ক্যাম্পগুলি তৈরি করা হয়েছে। এদিকে সেখানকার মুসলিমরা জানাচ্ছেন, তাদের ক্যাম্পগুলি গোরস্থান এলাকায় তৈরি।

এ প্রসঙ্গে জেওরগেটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ইতিহাসের অধ্যাপক জেমস মিলওয়ার্ড জানান, চীনে ধর্মীয় বিশ্বাস একটি ব্যাধির মতো। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বেইজিং প্রায় সময়ই ধর্মীয় উগ্রতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদের পক্ষে ইন্ধন জোগায়।

চীন ভয় পাচ্ছে এই ভেবে যে উইঘুররা যদি জিজিয়াংকেই তাদের স্থায়ী বাসস্থানে পরিণত করে তাহলে কী হবে?

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে একটি হিংসার ঘটনায় প্রায় একশজন মানুষের মৃত্যু হয়। এদিকে চীনা প্রশাসন তাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে এ মনে করে যে  উইঘুর সম্প্রদায়ের ক্রম বিকাশ রোধ করা না গেলে দেশের দুর্দিন খুবই নিকটে। তাই তারা এখন নির্যাতন আর নিপীড়ন করে তাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে চাচ্ছে।

সূত্র: দ্যা আটলান্টিক নিউজ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ