মুজাহিদুল ইসলাম: সম্প্রতি আমেরিকার নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ ও বিরোধীদের পর্যবেক্ষনের জন্য এক বছরের বেশি সময় হতে আরব আমিরাত ইসরাইলি নজরাদি প্রোগ্রাম ব্যবহার করছে।
খবরে বলা হয়, স্মার্টফোনে নজরাদি-প্রোগ্রাম ডেভলাভকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও এগুলো উৎপাদন করে, যার হেডকোয়ার্টার ইসরাইলের হার্যলিয়াতে অবস্থিত।
পত্রিকাটি জানায়, আমিরাতের শাসকরা আমিরাতের ভেতরে বিরোধীদের এবং বাইরে তাদের প্রতিপক্ষদের স্মার্টফোনকে নজরাদি ডিভাইসে পরিণত করে।
পত্রিকার ভাষ্যমতে গোয়েন্দা ডিভাইস আপডেট করা নিয়ে আরব আমিরাতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ইসরাইলি কোম্পানির মাঝে আদান প্রদানে ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যায়, আরব আমিরাত এক বছর থেকে কাতারের আমির শায়েখ তামিম বিন হামাদ আল সানির ফোনালাপ সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
পাশাপাশি সৌদি বাদশাহের পুত্র মুতাব বিন আব্দুল্লাহ-যাকে সে সময় মুহাম্মাদ বিন সালমানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীহিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল- এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরির ফোনের তথ্য জানার জন্য কোম্পানির কাছে দাবি করে।
পত্রিকাটি জানায়, নজরাদি করার জন্য প্রথমে এ প্রোগ্রামটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোনে একটি লিখিত বার্তা পাঠায়, ঐ ব্যক্তি এটা চাপ দিলেই তার ফোনে গোপনেই নজরাদি আপ্যস ইনস্টল হয়ে যায়, যার মাধ্যমে নির্দিষ্টি পক্ষ মোবাইলের কথাবার্তা পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
সূত্র: আলজাজিরা
আমাদের সে বাড়ির নাম ছিলো ‘কিংস কোর্ট’: আল্লামা তাকি উসমানি