আবদুল্লাহ তামিম: চীনের চরমপন্থীবিরোধী রাজনৈতিক শিবিরগুলোয় আটক অন্তত দশ লাখ উইঘুর মুসলিমকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
দেশটির এ ঘটনা ওপর বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন পেশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি।
সেখানে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে চীনের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে আটক বন্ধ করে অবিলম্বে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।
একইসঙ্গে আটকৃতদের প্রকৃত সংখ্যা জানিয়ে, এদের জাতি ও ধর্মগত বৈষম্যের শিকারের যে অভিযোগ রয়েছে, তারও তদন্ত সাপেক্ষে সুস্পষ্ট জবাব দিতে হবে চীনকে।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের এক অধিবেশনে চীনের ওপর দুদিনব্যাপী আলোচনায় সংস্থাটির জাতিগত বৈষম্য নির্মূল কমিটির সদস্য গে ম্যাকডওগাল বলেন, উইঘুর অধ্যুষিত স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চলটিকে বৃহৎ বন্দীশিবিরে পরিণত করা হয়েছে, এতে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন।
তবে এ ধরণের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের খবরটি সত্য নয়।
তবে অঞ্চলটির নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু উগ্র-ধর্মাবলম্বী সশস্ত্র যোদ্ধা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীকে সংশোধনের শিক্ষা দিতে আটক করা হয়েছে।
মূলত চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে এই উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বাস, যারা সেখানকার মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ।
প্রদেশটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদের হিংসাত্মক তৎপরতা রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই প্রদেশ থেকে বহু মানুষকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এখন ব্যবসার হিসাব হবে সফটওয়ারে – বিস্তারিত জানুন
আরো পড়ুন-
তালাকের মহামারি; সমাজের দুই বাহুর ভাবনা!
বিশ্বমুহাম্মদ সা. এর ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিবাদে উত্তাল
এটি/আওয়ার ইসলাম