আওয়ার ইসলাম: চলতি বছর এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জনের হজব্রত পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সৌদি আরবে এজেন্সিগুলোর বাড়িভাড়া করতে দেরি হওয়ায় তাদের ভিসা সংগ্রহেও ধীরগতি দেখা যায়।
এ কারণে ভিসা সংগ্রহের সময় ৭ আগস্ট শেষ হলেও সরকারের পক্ষে সৌদি দূতাবাসকে সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। দূতাবাস আন-অফিসিয়াল ভিসার জন্য আরও দুইদিন আবেদন জমা নেয়। এরপরও ৭২৭ জনের আবেদন জমা পড়েনি। এর মধ্যে সরকারি ৩৯টি ও বেসরকারি ৬৮৮টি।
আটকে পড়া হজযাত্রী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে। তারা বলছেন, এজেন্সিগুলো যথাসময়ে বাড়ি ভাড়া না করা, ভিসা আবেদন না করাসহ অবহেলা আর উদাসীনতায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। সংগঠনের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এ বছর যারা হজে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, তাদের কেউ কেউ অসুস্থতাসহ নানা কারণে যেতে চাইছেন না। মন্ত্রণালয় তাদের কাছে জানতে চেয়েছে, কেন তারা যাবেন না। না যাওয়া যাত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। প্রতি বছরই এমনটা হয়ে থাকে।
হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি আব্দুস সুবহান ভুইয়া বলেন, এ বছর মোট ৭২৭ জন ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এ কারণে তাদের ভিসা হয়নি।
কেনো করেনি এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা হাবের পক্ষ থেকে জেনেছি তারা স্বেচ্ছায় আবেদন জমা দেননি। তবে তারা চাইলে আগামী বছর যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের আর নিবন্ধন করা লাগবে না।
এদিকে, এবার যাত্রী স্বল্পতার কারণে বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইনসের মোট ১৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে বিমানের ৬ হাজার জন যাত্রীর ক্যাপাসিটি লস হয়।
আরও পড়ুন: কাবা শরীফের দরজা খোলার চেষ্টা; গ্রেফতার (ভিডিও)
আরএম/