আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামজাত পণ্যের ওপর শুল্কের হার দ্বিগুণ করেছেন। আর দেশটির এমন সিদ্ধান্তকে তুরস্কের অর্থনীতির ওপর আগ্রাসন বলে অভিযোগ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইপ এরদোগান।
গতকাল শুক্রবার ন্যাটো জোট মিত্র তুরস্কের ওপর নতুন এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এমন এক সময়ে এই ঘোষণা দেওয়া যার কয়েক ঘন্টা আগেই এরদোগান যুক্তরাষ্ট্রের এমন চিন্তাভাবনাকে তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংসের ‘পরিকল্পনা’ বলে অভিযোগ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক দ্বিগুণের এই সিদ্ধান্তের এক রাতেই তুরস্কের মুদ্রা লিরার দড় বিশ্ববাজারে ২০শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় ।
তুরস্কে বন্দী থাকা এক মার্কিন নাগরিককে মুক্তি না দেওয়ায় আংকারার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে অ্যান্ড্রু ব্রুনসন নামের ঐ ব্যক্তিকে জেলে বন্দী রাখার আদেশ দেওয়ায় তুরস্কের আইন ও বিচার বন্দীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে গত সপ্তাহে তুরস্কে থাকা দুই মার্কিন কর্মকর্তার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় তুর্কি সরকার।
তুরস্কের মুদ্রার দড় পতনকে ‘জাতীয় যুদ্ধ’ বলে ঘোষণা করেছেন তুর্কি প্রেসডেন্ট এরদোগান। গতকাল শুক্রবার তুরস্কের নাগরিকদেরকে সোনা ও ডলার লিরার সাথে বিনিময় করার অনুরোধ করেন এরদোগান। কৃষ সাগরের উপকূলবর্তী শহর রিজে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ডলার আমাদের রাস্তা বন্ধ করতে পারবেন না। তবুও এখান থেকে আরও একবার আমি বলতে চাই। যদি কারও বালিশের নিচে সোনা বা ডলার থাকে তাহলে তা ব্যাংকে গিয়ে লিরার সাথে বিনিময় করে আসুন”।
তিনি আরও বলেন, “তুরস্কের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেগুলোতে কান দেবেন না। যদি তাদের কাছে ডলার থাকে, তাহলে আমাদের কাছে আমাদের জনগণ আছে। আমাদের ঈশ্বর আছেন। জেনে রাখুনঃ আমরা গতকালের থেকে আজকে আরও ভালো। আমরা আগামীতে আরও ভালো অবস্থানে যাব। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই”।
সূত্রঃ আল জাজিরা