আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে হটলাইন চালু করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার। শুক্রবার (১০ আগস্ট) মিয়ানমারের রাজধানী নেপোডো’র থিনগাহা হোটেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলার কার্যালয় সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেতে এসব জানিয়েছে।
ইউনিয়ন মিনিস্টার ইউ কিউ থিন সভাপতিত্ব বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, ইউনিয়ন মিনিস্টার থিইন সু এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বৈঠকে দুই দেশ ৮টি পয়েন্টে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেগুলো হলো-
১. দুই পক্ষই রোহিঙ্গাদের অতিসত্ত্বর নিজ থেকে, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে দুই দেশ হটলাইন চালু করবে।
২. রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরতে স্বেচ্ছায় ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করবে, যেখানে স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ এবং ফটো আইডি সংযুক্ত করবে।
৩. মিয়ানমার দু’টি রিসিপশন সেন্টার ও একটি ট্রানজিট ক্যাম্প তৈরি করছে। বাংলাদেশ ৫টি ট্রানজিট ক্যাম্প তৈরি করবে তার মধ্যে একটি প্রস্তুত হয়েছে।
৪. দুই দেশ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী অভিযানে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে।
৫. দুই দেশের জিরো পয়েন্টে যারা অবস্থান করছে তাদের বিষয়ে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে।
৬. রোহিঙ্গাদের যেকোনো ধরণে মানবিক সহায়তা মিয়ানমারে দিতে হলে তাদের এইড এজেন্সি তা দেবে।
৭. বাংলাদেশ এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের যে আইডি কার্ড দিয়েছে তা পরিমার্জন করার ব্যবস্থা থাকবে।
৮. দুই দেশ তাদের সীমান্তে বিপি-৩৪ এবং বিপি-৩৫ নং পিলারে যৌথ পরিদর্শন করবে।
শেষে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক সম্পর্ক রেখে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্য অব্যাহত রাখবে বলে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিণতির দিকে যাচ্ছে কি আসামের ৪০ লাখ মুসলিম?
আরএম/