আবদুল্লাহ তামিম: সৌদি তাদের দেশে অবস্থিত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় সোমবার। নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়। পাশাপাশি, কানাডার সঙ্গে সব ধরণের নতুন বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সৌদি আরবে কারান্তরীণ এক মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তি দিতে অটোয়ার আহ্বানের কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। অস্ট্রেলিয়ার নিউজ.কম.এইউ এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে কানাডা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সৌদি আরবে পদকজয়ী মানবাধিকার কর্মী সামার বাদাওয়িসহ নারী ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়ে দেশটি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
পরবর্তীতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, সামার বাদাওয়িকে গ্রেপ্তারের খবরে কানাডা খুবই উদ্বিগ্ন। সামার আরেক কারান্তরীণ সৌদি ব্লগার রাফি বাদাওয়ির বোন। সামারের সঙ্গে আরেক প্রখ্যাত অ্যাক্টিভিস্ট নাসিমা আল সাদাকেও আটক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ফ্রিল্যান্ড বলেন কানাডা এই কঠিন সময়ে বাদাওয়ি পরিবারের সঙ্গ আছে। আমরা রাইফ ও সামার বাদাওয়ির মুক্তির জোর দাবি জানাই। আমি সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি তৎক্ষণাৎ এই দুইজনসহ সকল অ-সহিংস মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তির আহ্বান জানাই
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অবশ্য দু’টি শব্দ নিয়ে বিশেষভাবে আপত্তি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় কানাডার বিবৃতিতে তৎক্ষণাৎ মুক্তি শব্দদ্বয়ের ব্যবহার দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুঃখজনক, নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।
খবরে বলা হয়, কানাডার সঙ্গে এই কূটনৈতিক অবনমন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন ঘটায়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।
আরও পড়ুন: কানাডায় অধ্যয়নরত ১৬০০০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরার নির্দেশ সৌদির
আরএম/