আবদুল্লাহ তামিম: মুসলিম নারীদের বোরকা পরা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে এবার দলীয় তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন ব্রিটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।
বোরকা নিয়ে মন্তব্য করে জনসন কনজারভেটিভ পার্টির আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কিনা, সেটিই খতিয়ে দেখা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দলীয় এক কর্মকর্তা।
দলের মুখপাত্র তদন্তের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আচরণবিধির প্রক্রিয়াটি খুবই গোপনীয়। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে জনসন দল থেকে বহিষ্কারের মুখেও পড়তে পারেন।
জনসন এ সপ্তাহে ব্রিটেনের ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় তার সাপ্তাহিক কলামে বোরকা নিয়ে মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি ডেনমার্কে সম্প্রতি বোরকা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের সমালোচনা করতে গিয়ে কিছু বিতর্কিত কথা বলেছেন।
বোরকা পরা মুসলিম নারীদের দেখতে চিঠির বাক্সের মতো লাগে বলে মন্তব্য করেছেন বরিস জনসন। তা ছাড়া মুখমণ্ডল এবং পুরো শরীর ঢাকা ওই নারীদের কেবল চোখ দুটি খোলা থাকায় তাদের দেখলে ব্যাংক ডাকাত মনে হয়।
রাজনীতিবিদসহ ব্রিটিশ মুসলিম দলগুলো জনসনের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। তার মন্তব্যের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে জনসনকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে তাও মানেননি তিনি।
বরিস জনসনের মন্তব্য মুসলিম গোষ্ঠীসহ কনজারভেটিভ পার্টির কয়েকজন এমপি এবং বিরোধী দলের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে।
কনজারভেটিভ পার্টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দলীয় তদন্তে জনসন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন প্রমাণিত হলে চূড়ান্ত ব্যবস্থা হিসেবে দলে তার সদস্যপদ স্থগিত করাসহ তাকে দল থেকে বের করেও দেয়া হতে পারে।
যে দু’টি শব্দের কারণে কানাডার ওপর ক্ষিপ্ত সৌদি আরব