আওয়ার ইসলাম: নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যেকে সামনে রেখে সম্প্রতি ডিসি ফিটলিস্টে থাকা ২০৬ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কার্যক্রম শেষ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে প্রায় ২০০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে তাদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, চলতি বছর এরই মধ্যে দুই দফায় ৩৩ জন নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী সরকার গঠনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে আরও নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ অধিশাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফিটলিস্টে থাকা ২০৬ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়ে গেছে। এখন শুধু নিয়োগের অপেক্ষা।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে প্রশাসনযন্ত্রকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ এর আগেও সব সরকারের সময়ই হয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হওয়ার পরপরই প্রশাসনে রদবদল এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। সে জন্য হয়তো মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।
জেলা প্রশাসকরা মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তারা মাঠে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। সূত্র মতে, কয়েকজন ডিসির মেয়াদ দুই বছর অতিক্রম এবং কয়েকজনের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম ভালো না থাকায় নতুন করে ওইসব জেলায় নিয়োগ দেওয়া হবে। শিগগির হয়তো ১৫ থেকে ২০টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, চলতি বছর ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, রংপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, বান্দরবান, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, ঝিনাইদহ, ভোলা, কুড়িগ্রাম, নরসিংদী, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, মানিকগঞ্জ, ফেনী, খাগড়াছড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, শেরপুর, খুলনা, সুনামগঞ্জ ও বান্দরবানে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত মাসে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন হয়েছে। এবার মাদক নির্মূল, সন্ত্রাস দমন, খাদ্যে ভেজাল রোধ, অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ, সরকারি সেবা নিশ্চিত করা, বাল্যবিয়ে রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নসহ ২৩টি বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকেও নির্দেশনা যায় ডিসিদের কাছে। আর কয়েক মাস পরেই জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য ডিসিদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সারাবাংলা।
অারএম/