আবদুল্লাহ তামিম: সিরিয়ার নাগরিক পর্যবেক্ষক পরিষদের প্রধান আহমদ রাহাল বলেছেন, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও চলমান সহিংসতায় গত বছর আমরা পরিসংখ্যান করে দেখেছি মৃত্যুর সংখ্যা ৬৮ হাজারেরও বেশি।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা এ বছর আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সিরিয়ায় এখনই নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজারেরও বেশি।
বৃহস্পতিবারে নাগরিক পর্যবেক্ষণ কমিটি মানবাধিকার কয়েকটি সংস্থা তাদের থেকে তথ্য জানতে চাইলে তারা এ খবর দেয়।
মানবাধিকার সংস্থার বরাতে আরো জানা যায়, সিরিয়ার কারাগারে যে পরিমাণ মানুষ আছে তাদেরও অবস্থা আশঙ্কা জনক।
প্রতিদিন কারাগার থেকে মৃত্যুর সংবাদ আসছে। অবহেলা আর খাবারের ঘাটতি ও চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সারা দেশে হাজার হাজার সিরিয়ান নাগরিককে সরকার কারাগারে আটকে রেখেছেন। করাগারে আটক ব্যক্তিদের আত্মীয়রা বলছেন, তারা প্রায়ই অমানবিক নির্যাতন করে বন্দিদের ওপর। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেয়া হয় না বন্দিদের।
[ব্যবসার যাবতীয় কাজ সহজ করতে এলো বিসফটি। এখনই রেজিস্ট্রেশন করুন বিসফটি।]
সিরিয়ার ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস জানায়, প্রায় ৪০০টি মামলা করা হয়েছে বন্দিদের নির্যাতনের বিষয়ে। এর মধ্যে বহু শিশু রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থার বরাতে আরো জানা যায়, সিরিয়ার কারাগরে প্রায় ৮০ হাজার নিরিহ সাধারণ জনতাকে জোর করে আটক করে রেখেছে।
ব্রিটেন ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস মনিটর এর মতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৩৫০,০০০ এরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
এই বছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় ৫ হাজার বেসামরিক নাগরিক ৭ হাজার সৈন্য ও অন্যান্যসহ অন্তত ১৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
সূত্র: আরব নিউজ
দেওবন্দে বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ তৈরিতে আলোচনা
-আরআর