আওয়ার ইসলাম: সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত ৬ আগস্ট ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, বলেছেন, বোরকা নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না। তার দল কনজারভেটিভ পার্টি চেয়ারম্যান জনসনকে এ নিয়ে ক্ষমা চাইতে বলার পর এমন মন্তব্য করলেন ব্রিটিশ এই রাজনীতিক। খবর বিবিসির।
মুসলিম নারীরা বোরকা পরলে তাদের ‘চিঠির বাক্সের মতো’দেখায় এবং ‘ব্যাংক ডাকাতদের’সঙ্গে তুলনা করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন গেলো মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জনসন।
বোরকা নিয়ে এমন কটূক্তি করা যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনকে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়ে দলটির সভাপতি ব্র্যানডন লুইসের কাছে চিঠি লিখেছেন বোরকা পরা ১০০ নারী।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট ২০১৮) দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম স্কাই নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে। চিঠিটিও প্রকাশ করেছে এই গণমাধ্যম।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জনসন শুধু ক্ষমা প্রকাশ করলে তা যথেষ্ট হবে না। কারণ তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেছেন। নিজেদের পক্ষে কথা বলার এবং পোশাক বাছাইয়ের সক্ষমতা নারীদের আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
জনসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কনজারভেটিভ পার্টি।
তার মন্তব্য প্রসঙ্গে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ট বলেন, আমি মনে করি তার মন্তব্যে অপরাধের একটা মাত্রা আছে। তবে সরকার পোশাকের বিষয়ে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করবে না।
বার্টের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ব্রানডন লুইস তার টুইটারে লিখেছেন, আমি বরিস জনসনকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানান জনসন।
আরও পড়ুন: বোরকা মন্তব্যে তীব্র সামালোচনা, ‘ক্ষমা চাইবেন না’ বরিস জনসন
আরএম/