আওয়ার ইসলাম: কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেটে বিএনপির নির্বাচন অফিসে গিয়ে সোমবার দুপুরে তিনি এই দাবি করেন।
মহানগরী এলাকায় ভোট জালিয়াতি, ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি।
সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে আরিফুল হক চৌধুরী ভোটের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, সিলেটের অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবুও নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অফিসকে জানিয়েছি সকাল থেকে ১৯,২০ ও ২১ নং ওয়ার্ডসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে আমার ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও জাতীয় পার্টির এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়া, বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রে থেকে বের করে দিয়ে ব্যালেটে সিল দিয়ে বাক্সে ভরে রাখে।
তিনি বলেন, এসব কারণে নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনকে।
তিনি সিটিতে আজ সকালে ভোট শুরু হয়। সকারে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় কারচুপি।
এরই প্রেক্ষিতে বরিশালে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুফতি ওবায়দুর রহমান মাহবুব নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।।
রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটারদের ভয় দেখানো, ব্যালটে জোর করে সিল মারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তবে এখনো তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি।
বরিশালে হাতপাখার নির্বাচন বর্জন; ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
বরিশালে বিএনপি প্রার্থী সারোয়ারেরও ভোট বর্জন