আওয়ার ইসলাম: গ্রিসে ভয়াবহ দাবানলে বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী এথেন্সের উপশহরের মানুষজন দাবানলের কারণে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সাহায্য চেয়েছে দেশটি। খবর স্কাই নিউজের।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাবানলের ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরও ৫৬ জন আহত হয়েছেন। তারা বলছেন, আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পূর্ব দিকে উপকূলীয় শহর মাতির রাস্তায় অন্তত চারজনের পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদের মধ্যে দুইজন মোটরবাইকের ওপর, একজন গাড়ির ভেতর এবং আরেকজন গাড়ির নিচে মারা গেছেন। ওই ব্যক্তিরা নিরাপত্তার জন্য নিকটবর্তী একটি সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার জন্য ট্র্যাফিকের লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
দাবানল নেভাতে ছয় শতাধিক দমকলকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের তিনশ’ গাড়ি অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে দাবানল নেভাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছে গ্রিস। ইতোমধ্যেই সাইপ্রাস ও স্পেন সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
কালো ধোঁয়ার কারণে প্রধান প্রধান মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। প্রচণ্ড আগুনের কারণে বিমানের ফ্লাইটও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সিনিয়র দমকলকর্মী অ্যাকিলিস জোভারাস বলেছেন, পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। ঘরবাড়ি বন্ধ করে এখানে থেকে সরে পড়া উচিত মানুষজনের। এতো ধোঁয়া দীর্ঘ সময় ধরে মানুষজন সহ্য করতে পারবে না।
এদিকে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস বলেছেন, এই আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বসনিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে তিনি বলেন, যেটা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে সেটা হচ্ছে একই সময় বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
এর আগে ২০০৭ সালে ভয়াবহ দাবানলে দেশটিতে ৬০ জন নিহত হয়েছিল। মূলত গ্রীসের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় লাগা ওই আগুনে বন ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান!
আরএম-