আওয়ার ইসলাম: মোহাম্মদ বাদওয়ান। ২৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি যুবক । ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকতেন তিনি। সবসময় স্বাধীনতার কথা ভাবতন। ইসলাম বিজয়ী হবে, ফিলিস্তিনিরা তাদের ঘর ফিরে পাবে। স্বদেশ ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু তার সে স্বপ্ন আর পূরণ হল না।
গত শুক্রবার ইসরাইলি সেনাদের গুলিত নিহত হয়েছেন মোহাম্মদ। শঞীদ হওয়ার পর তাকে তুর্কি পতাকায় দাফন করা হয়।
মোহাম্মদ বাদওয়ানের ইচ্ছা ছিল তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তুরস্কের প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি সব সময় তুরস্কের পতাকা সঙ্গে রাখতেন।
কিন্তু এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ তার ভাগ্যে মেলেনি। শুক্রবার ইসরাইলি সেনাদের গুলি তার বুকে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই নহিত হন তিনি। নিহত হওয়ার সময়ও তুর্কি পতাকা ছিল তার সঙ্গে।
মোহাম্মদ মারা গেলেও তুরস্কের প্রতি তার ভালবাসাকে সম্মান জানিয়েছে তার পরিবার ও ফিলিস্তিনিরা। তুর্কি পতাকার রঙে রঙিন কাপড়ে তাকে দাফন করা হয়েছে।
মোহাম্মদের খালাত ভাই ইহাব বাদওয়ান জানিয়েছেন, শুক্রবার মোহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং তুরস্কের প্রতি তার ভালবাসাকে আমরা সম্মান জানাতে তুরস্কের পতাকায় তাকে দাফন করেছি।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ সব সময় বলতেন, এরদোগান ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেন। এরদোগান ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত বন্ধ।
সূত্র: এরাবিয়ান জার্নাল, ইয়ানি শাফাক।
আরও পড়ুন: ওসমানী খেলাফতের সৈন্যের আমানত পাহারা দিচ্ছে ফিলিস্তিনি পরিবার
আরএম-