মাওলানা এনআমুল হাসান
আলেম ও লেখক
হযরত থানবী রহ. লিখেছেন, ‘‘একটি উদাসীনতা, যার ক্ষতি ব্যাপক হওয়ার কারণে বিষয়টি খুবই গুরম্নত্ব সহকারে বিবেচনার দাবি রাখে, তাহল, কতক লোক হজ থেকে ফিরে এসে সেখানকার দুঃখ-কষ্ট এমনভাবে বর্ণনা করে যে শ্রোতাদের অন্তরে হজের প্রতি একটা ভয় ঢুকে যায়। এসব লোক আল্লাহর পথে মানুষকে বাধাদানকারীর শামিল।
কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা যে বলেছেন, وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ এ আয়াতে যাদের কথা বলা হয়েছে এদের মধ্যে এ সকল লোকও অন্তর্ভূক্ত। ...হজের সফরে যদি কিছু কষ্ট হয়ও তাহলেও তো তাকে হাসিমুখে বরণ করে নিতে হয়। কারণ, এটি তো সাধারণ কোনো সফর নয়।
এটি তো ইশক ও মুহাববতের, প্রেম ও ভালবাসার সফর। প্রিয়তমের সাথে সাক্ষাতের সফরে পথের কাঁটাও তো ফুল হিসাবে বরণ করে নিতে হয়। কবি বড় সুন্দর বলেছেন,
در رہ منزل لیلے خطرہاست بجاں
شرط اول قدم اں ست کہ مجنوں باشي
অর্থ: প্রেমাস্পদের কাছে যাওয়ার পথে রয়েছে অনেক বাধা। সে পথে পা বড়ানোর প্রথম শর্তই হচ্ছে তোমাকে পাগল হতে হবে।’’
আরেকটি আফসোসের কথা হল, দেখা যায় হজ থেকে ফেরার পর কাবা ঘরের প্রতি ভালোবাসা ও মহববতের কোনো আলোচনা নেই। আলোচনা আছে সে দেশের আধুনিক স্থাপনা শিল্পের, সুরম্য ভবন ও সুউচ্চ অট্টালিকার!
প্রযুক্তি ধাঁধাঁয় আমাদের চোখ আটকে যায় বর্তমানে! বর্তমান ছাড়িয়ে আমরা যেতে পারি না চৌদ্দশ বছর আগের অতীতে!
মক্কা-মদীনা থেকে আসার পর কেউ যদি মক্কা মদীনার পরিবর্তে আরবের অন্যান্য আধুনিক জিনিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকে তাহলে আমার মনে হয়, এটি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের গায়রতে লাগার মত একটি বিষয়।
তথ্যসূত্র : -মাআরেফে হাকীমুল উম্মত পৃ.৩৯৫
আরও পড়ুন : এক নজরে পবিত্র হজের এ টু জেড
আরএম/