আওয়ার ইসলাম : মুসলমানদের অন্তরে ইয়াওমুল জুমার বিশেষ গুরুত্ব প্রোথিত করতে বিভিন্ন হাদীসে এর অনেক মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বর্ণিনা করা হয়েছে। তন্মধ্যে তিনটি নিম্নে বিবৃত করা হলো:
১. জুমার দিন মন্দ কাজ দূর করা ও গুনাহ মাফের দিন: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এক জুমআ থেকে অপর জুম’আ এতদুভয়ের মাঝের (গুনাহের জন্য) কাফ্ফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা গুনাহের সাথে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে।” (সহীহ মুসলিম)
২. জুমার সালাতে যাত্রাকারীর প্রত্যেক ধাপে এক বছরের সালাত ও সাওম পালনের ছওয়াব হয়: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি জুম’আর দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে (খুৎবা) শ্রবণ করবে ও চুপ থাকবে তার জুম’আর সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের সালাত ও সাওম পালনের ছওয়াব হবে।” (তিরমিযী, নাসাঈ)
৩. জুমার দিনে একটি সময় আছে যে সময়ে দো‘আ কবুল হয়: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় জুম’আর দিনে এমন একটি সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুসলিম আল্লাহর নিকট কোনো ভালো জিনিসের প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। তিনি বলেন: আর তা সামান্য সময় মাত্র।” (বুখারী, মুসলিম)
অধিকাংশ আলেমের মতে, দো‘আ কবুলের সম্ভাবনার সেই সময়টি হলো আসরের সালাতের পরের সময়। দ্বিপ্রহরের পরের সময়টিতেও দো‘আ কবুলের আশা করা যেতে পারে। সুতরাং মুসলিমগণের উচিৎ এ সময়টিতে নিজের ও সকল মুসলিমদের জন্য বেশি বেশি দো‘আ করা।
অারও পড়ুন : জুমার দিন সম্পর্কে অজানা ৫ তথ্য