মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক
শিক্ষাবিদ ও দাঈ
উচ্চা শিক্ষা বা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাংলা, ইংরেজী মাধ্যমের ছেলে মেয়েরা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন/বাবা মায়েরা ভর্তি করান। একসময় সদ্য যৌবনে পদার্পন করা এই ছেলে মেয়েগুলো তাদের ঠিক পাশের সিটেই বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ক্লাস করতে দেখেন।
প্রতিদিন দেখতে দেখতে তাদের একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ জন্ম নেয়, একে অন্যের প্রেমে পড়ে যান – এইভাবে শুরু হয় নতুন একটা জীবন! তখন পড়াশোনা আর ভালো লাগেনা, মাথায় চিন্তা শুধু একটাই – অমুক মেয়ে বা ছেলেটাকে পাইতেই হবে – নয়তো জীবনটা বুঝি শেষ হয়ে যাবে!
যেহেতু এই বয়সে তাদের বাবা মায়েরা তাদের বিয়ে দেন না, তাই এইভাবে তারা তাদের যৌবনের কামনা বাসনাকে পূরণ করার চেষ্টা করে। অনেকে সফল হয়ে চূড়ান্তভাবে বিষয়টা জেনাতে পৌঁছায়। অনেকে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করে, পড়াশোনা নষ্ট করে, নিজের ও বাবা মায়ের স্বপ্ন শেষ। অভিশপ্ত জীবন, অভিশপ্ত এই জীবন ব্যবস্থা।
এইগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায় :
১. ছেলে মেয়দেরকে উপযুক্ত সময়ে বিয়ে করানো
২. ছেলে ও মেয়েদের আলাদা শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করা
৩. হিজাব পর্দার নিয়ম নীতি মেনে চলা
৪. ছোটোবেলা থেকেই ছেলে মেয়দেরকে ইসলামী জীবন যাপনে অভ্যস্ত করা
৫. তাদেরকে কবীরা গুনাহগুলোর ব্যপারে সতর্ক রাখা
“সন্তানদের জন্য বিয়েকে সহজ করে দেয়া আমাদের জন্য ইবাদাত স্বরূপ। আর তাদের জন্য বিয়েকে কঠিন করে ফেলা একটি পাপ, যা অন্যান্য আরো অনেক পাপের জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন : তারা জীবনভর পাপ করে কী অর্জন করতে পেরেছে : মুফতি মেনক