মুফতি আবদুল্লাহ তামিম: একটি হাদিসেই রাসুল সা. উম্মতদের শিখিয়ে দিয়েছেন অনেক কিছু। আমাদেরও অনেক প্রশ্ন থাকে মনে।
সাহাবায়ে কেরামেরও এমন প্রশ্ন ছিলো যে, আমরা যারা গরীব দান করতে পারি না আরো এমন অনেক প্রশ্ন। রাসুল সা. উত্তর ছিলো অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত। হযরত আবূ যর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহর সা. কিছু সাহাবী প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! বিত্তবান লোকেরা প্রতিফল ও সওয়াবের কাজে এগিয়ে গেছে।
আমরা নামায পড়ি তারাও সেরকম নামায পড়ে, আমরা রোযা রাখি তারাও সেরকম রোযা রাখে, তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ সদকা করে।
তিনি বলেন: আল্লাহ্ কি তোমাদের জন্য এমন জিনিস রাখেননি যে তোমরা সদকাহ্ দিতে পার। প্রত্যেক তাসবীহ্ (সোবহান আল্লাহ্) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক তাকবির (আল্লাহু আকবার) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ্) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক ভালো কাজের হুকুম দেয়া হচ্ছে সদকাহ্ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত করা হচ্ছে সদকাহ্।
আর তোমাদের প্রত্যেকে আপন স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও হচ্ছে সদকাহ্। তারা জিজ্ঞাসা করেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কেউ যখন যৌন আকাঙ্খা সহকারে স্ত্রীর সাথে সম্ভোগ করে, তাতেও কি সওয়াব হবে?
তিনি বলেন: তোমরা কি দেখ না, যখন সে হারাম পদ্ধতিতে তা করে, তখন সে গোনাহ্গার হয় কি না! সুতরাং অনুরূপভাবে যখন সে ঐ কাজ বৈধভাবে করে তখন সে তার জন্য প্রতিফল ও সওয়াব পাবে। (মুসলিম-১০০৬)
আরো পড়ুন- এক নওমুসলিমের সাহরিবিহীন ২০ঘণ্টা রোজার স্মৃতি