মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ
আলেম ও সাংবাদিক
‘নিশ্চয়ই কষ্টের পরেই স্বস্তি আছে। অবশ্যই কষ্টের পরে স্বস্তি আছে।’ -সুরা আলামনাশরাহ, আয়াত- ৬
আমাদের অনেকের জীবনেই মাঝে মাঝে কিছু সময় আসে যখন মনে হয় ‘নাহ, আর হবে নাহ/আর পারছি না’। অথবা হয়ত কখনো জীবনের মুহূর্তগুলো এতই কঠিন লাগে যে আর আশা খুঁজে পাই না।
নিজের উপরে বিশ্বাস হারিয়ে যেতে থাকে। হয়ত কখনো কোনো ভুলের কারণে হওয়া কষ্ট এত তীব্র হয় যে মনে হতে পারে জীবনের ফেলে আসা পথগুলো আসলে ভুল ছিল।
আবার এমনও মনে হয়, আমি যে জীবন কাটাচ্ছি, হয়ত এ থেকে খুব ভালো কিছু দূরে থাক, এই কঠিন পৃথিবীতে কোনরকম কিছু করেও টিকে থাকতে পারবো বলে আশা করা যায় না।
জানি না কত জনের এমন মনে হয়। তবে আসলে মনের ভেতরে এমন নানান চিন্তা নিয়ে গুমরে মরা মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। যখন চারপাশের অন্যায়, ফিতনাহ, অসুস্থতা আমাদেরকে কাবু করে নেয় তখন এমনটা হতেই পারে।
হাদীসের দরসে একদিন উস্তাদ বলছিলেন, জীবনের কঠিন সময়গুলোতে তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কুরআনুল কারীমের পাতা ওল্টান এলোমেলো।
যেখানেই চোখ পড়ে সেখানে দেখতে পান তার জীবনে মুখোমুখি হওয়া সেই পরিস্থিতি নিয়েই যেন আল্লাহ কিছু বলে রেখেছেন! আমি বেশ অনেকজনের কথা জানি যারা হুবহু এই অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।
যখন মুখ ফেরানোর আর কোনো উপায় থাকে না, তখন বাধ্য হয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে হয়। তখন বাধ্য হয়ে চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে হয়। কিন্তু দয়াময় আল্লাহ কোনদিন কাউকে ফিরিয়ে দেন না।
আল্লাহ তাঁর পবিত্র কালামে সে কথাই বলে দিয়েছেন- ‘আর আমার বান্দারা যখন আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যপারে, আমি তো রয়েছি সন্নিকটেই। আমি বান্দার প্রার্থনা কবুল করি, যখন সে আমাকে আহ্বান করে। কাজেই তারা যেন আমার হুকুম মেনে চলে এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। যাতে তারা সঠিক পথের দিশা লাভ করতে পারে।’ (সুরা বাকারা:১৮৬)
আরও পড়ুন : পবিত্র কুরআনে বর্ণিত মুমিনের ১০ গুণ