আওয়ার ইসলাম : মুমিন শব্দটি আরবি। অর্থ বিশ্বাসী। মুমিনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যার সমস্ত কর্মকাণ্ড একনিষ্ঠতার সঙ্গে একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলের আনুগত্যের পথে পরিচালিত হয়।
মুমিন ও মুমিনের গুণাবলি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের অসংখ্য জায়গায় বর্ণনা রয়েছে। সেখান থেকে মুমিনের ১৫ টি গুণ উল্লেখ করা হলো-
১. আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কখনো শিরক করে না। ‘তারা আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্যকে ডাকে না।’ -সূরা ফুরকান: ৬৮
২. ‘জিনা-ব্যভিচার করে না’ (সূরা ফুরকান: ৬৮), ‘সেই সঙ্গে নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ -সূরা মুমিনুন: ৫
৩. একনিষ্ঠতা সহকারে নামাজ আদায় করে। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত হয় এবং নিজেদের নামাজগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে।’ -সূরা মুমিনুন: ২-৯
৪. পিতা-মাতার প্রতি উফ শব্দও করে না। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘তাদেরকে (পিতা-মাতাকে)‘উহ’ পর্যন্ত বলো না।’ -সূরা ইসরা: ২৩
৫. মুমিন সর্বদা অযথা এবং বাজে কাজ থেকে দূরে থাকবে। আল্লাহতায়ালা বলছেন, ‘বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে।’ -সূরা মুমিনুন: ৩
৬. কোনো মুমিন মূর্খদের সঙ্গে কখনো তর্ক করে না। কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘মূর্খরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে থাকলে সালাম বলে দেয়।’ -সূরা ফুরকান: ৬৩
৭. প্রকৃত মুমিনরা নিন্দুকের নিন্দাকে পরওয়া করে না। ‘যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না।’ -সূরা মায়েদা: ৫৪
৮. কোনো মুমিন কখনো মিথ্যা কথা বলবে না। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, আমানতের খেয়ানত করে না, প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করে, অঙ্গিকার করে তা পূর্ণ করে।’ –সূরা বাকারা: ১৭৭
৯. এতিমের হক নষ্ট করবে না। ‘এতিমদের তাদের ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দাও।’ -সূরা নিসা: ২
১০. মুমিনের আরেক গুণ হলো, সে মানুষের ভুলভ্রান্তিকে ক্ষমা করবে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘অন্যের দোষ-ক্রটি মাফ করে দেয়।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৩৪
আরও পড়ুন : ঈমানকে সুন্দর রাখতে মুমিনের যা করা উচিৎ