আওয়ার ইসলাম : ভারতে গিয়ে তিস্তার পানি বণ্টনসহ দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী করেছেন, তা জানতে চেয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ করেছে- অত্যন্ত ভালো কথা।
তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, জনগণ ও আমােদের প্রশ্ন- আমরা আমাদের যে পাওনাগুলো রয়েছে, সমস্যাগুলো রয়েছে সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলছেন কি না।”
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা ফ্লাইওভার কাজের পরিদর্শন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতায় গেছেন। সেখানে নরেন্দ্র মোদি ও মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক হবে।
আমি এখানে বসে বলতে পারি না ফলাফল কি হবে। তবে এটা বলতে পারি প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তা চুক্তি না হলেও অগ্রগতি হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে এখনও যেসব সমস্যা আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমেই তার সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
তাদের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার পর সন্ধ্যায় এক ইফতার আয়োজনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের হিস্যা আদায়ের আলোচনার সম্পর্কে জানতে চাইলেন মির্জা ফখরুল।
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এখনও না হওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছিল তখনই তারা বলেছিল যে, এখন এটা শুধু সময়ের ব্যাপার যে আমরা তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি করতে পারব। অথচ দীর্ঘ নয় বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানির ব্যাপারেও কোনো চুক্তি হয়নি।
আরও পড়ুন : ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, আলোচনা হবে তিস্তা নিয়ে