আওয়ার ইসলাম : সফল উৎক্ষেপণ শেষে রকেট ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ আটলান্টিকের বুকে ভেসে থাকা ড্রোন জাহাজে সফলভাবে অবতরণ করেছে।
শনিবার ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯ এ লঞ্চ প্যাড থেকে এই রকেটটিই বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’কে নিয়ে উঠেছিল।
এই উৎক্ষেপণের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে তুলে দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের ‘অফ কোর্স আই স্টিল লাভ ইউ’ নামে ড্রোন শিপে সফলভাবে অবতরণ করেছে রকেটটি।
লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণের আট মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর দুই স্টেজের এই রকেটটির স্টেজ-১ পৃথিবীতে ফিরে আসে। তার আগে আড়াই মিনিটের মাথায় স্টেজ-১ ও স্টেজ-২ আলাদা হয়।
স্টেজ-২ ৩৩ মিনিটের মধ্যে কক্ষপথে স্থাপন করে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটিকে; স্টেজ ওয়ান ফিরে আসে পৃথিবীতে।
ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক-৫ সংস্করণটিকে সর্বাধুনিক দাবি করছে স্পেসএক্স। এটি আরও কমপক্ষে ১০ বার ব্যবহার করা যাবে বলে তাদের দাবি।
বেশ কয়েক ধরনের উন্নতির পর ফ্যালকন ৯ এর আগের সংস্করণ থেকে ব্লক ৫ এর পার্থক্য এখন দৃশ্যমান।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, এর আগে অ্যালুমিনিয়াম গ্রিড ফিন ব্যবহার করা হলেও ব্লক ৫ এ রয়েছে টাইটানিয়াম গ্রিড ফিন। ভূমিতে বা সাগরে নিরাপদ অবতরণের ক্ষেত্রে ব্লক ৫ এখন আরও বেশি তাপসহনীয়। এর সংস্কার করা অংশগুলো অত্যধিক তাপসহনীয় পাইরন উপাদানের প্রলেপ দেওয়া। উচ্চমাত্রার তাপ সহনশীল ফাইবার পাইরন ১২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাতেও গলে না।
রকেটের তলায় যুক্ত মারলিন ইঞ্জিন আগের বেশি আট শতাংশ বেশি ধাক্কা দিতে সক্ষম।
নাসার চাহিদা অনুযায়ী নির্মিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়ার ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটটির মানোন্নয়নে কাজ করছে স্পেসএক্স।
নাসার মহাকাশে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টারে অভিযাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনায় এই রকেটটি ব্যবহার করবে স্পেসএক্স। তবে তার আগে নাসা চাইছে, রকেটটি অন্তত সাতবার সফল উড্ডয়ন ও অবতরণ করুক।
‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের কাছে দায়বদ্ধ নয় ইরান’
মহাকাশের বুকে স্বপ্নের স্বাক্ষর