আওয়ার ইসলাম : ঢাকার গুলশানে গত বছরের জানুয়ারি মাসে সিটি কর্পোরেশন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০১৭ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাজধানীর ১৩ শ’ পাঁচটি শপিং মল ও মার্কেটে জরিপ চালিয়েছে।
তাদের হিসেবে এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি বাদে বাকি সবগুলোই অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। ছয়শর বেশি রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। ঢাকার মার্কেট গুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণী ব্যবস্থা। নেই ফায়ার ড্রিলের ব্যবস্থা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দামি শপিং মল বা পুরনো চাঁদনী চক, গাউসিয়া বা মৌচাক, ঢাকার কোন মার্কেটেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার প্রচলন নেই। কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতা কাউকেই তেমন একটা চিন্তিত মনে হল না।একজন হাসতে হাসতে বললেন, "কখনো তো কিছু হয়নি। আমরা তো সব সময় এখানে আসি।"
তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে অপারেশন্স অংশের পরিচালক মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলছিলেন, অনেক বিষয় বিবেচনা করে তারা ঢাকার মার্কেটগুলোর ঝুঁকি নির্ধারণ করছেন এবং পরিস্থিতি ঢাকার নতুন পুরনো সব মার্কেটের জন্যই ভীতিকর।
তিনি বলছেন, "পর্যাপ্ত পরিমাণে এক্সিট নাই। মানুষজন আগুন থেকে বাঁচার উপায় কিছু জানে না। নিয়মিত ফায়ার ড্রিল হয়না। ফায়ার এক্সটিংগুইশার আছে কিন্তু কেউ তা কেউ চালাতে জানেন না। মার্কেটে আগুন নেভাতে পানির ব্যবস্থা নেই। মার্কেটে ঢোকার পথ সরু। সিরি ছাদ পর্যন্ত যাওয়ার কথা কিন্তু তা একটা যায়গা পর্যন্ত দিয়ে শেষ হয়ে গেছে। ছাদে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অন্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কিছু বিবেচনা করে আমরা ঝুঁকি নির্ধারণ করেছি"
তিনি আরও বলছেন, "ট্রান্সফরমার, জেনারেটর, বিদ্যুতের সাব স্টেশন সব এক জায়গায় করা। এগুলোর একটায় আগুন লাগবে সব পুড়ে যাবে। তাতে আগুন নিভানো যন্ত্রপাতি তো কাজ করা বন্ধ হয়ে যাবে। ফায়ার অ্যালার্ম বাজবে না"
তিনি বলছেন, বিভিন্ন মার্কেট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে আলাপ আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু তাদের সন্তোষজন কোনো রেসপন্স পাই না আমরা।
নাজিবের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মুগদায় জাতীয় নার্সিং ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী