আওয়ার ইসলাম : কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ নীলফামারী। এ যাবত ৭ জন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘরের ওপর গাছ পড়ে ওই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জেলার ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।
এতে এসব অঞ্চলের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও বড়-ছোট গাছপালা উপড়ে যায়; ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধান, পাট ও ভুট্টা ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়। জলঢাকা উপজেলায় ঝড়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- ধর্মপাল ইউনিয়নের খচিমাথা গ্রামের আলম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (৩০), তার তিন মাসের মেয়ে এবং মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলবাড়ি মমিনুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২)।
ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বলেন, “ঝড়ের সময় সুমাইয়া তার মেয়েকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন। কিন্তু একটি গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়লে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।”
এছাড়া ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে আশিকুরের মৃত্যু হয় বলে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
এ উপজেলায় ঝড়ের সময় অন্তত ৫০ জন আহত হন বলে জানান তিনি।
ডোমার থানার এসআই আরমান আলী জানান, এ উপজেলায় ঝড়ের মধ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তারা।
এরা হলেন- কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বোতলগঞ্জ গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আবদার আলী (৫০), ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের খানকাশরীফ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জামিউল ইসলাম (১২), একই ইউনিয়নের শাখারীপাড়া গ্রামের শুকারু মামুদের স্ত্রী খদেজা বেগম (৫৫) ও গোমনাতি ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার গ্রামের ধৌলু মামুদের ছেলে আব্দুল গণি (৪০)।
এসআই আরমান বলেন, “নিহতরা ঝড়ের সময় বাড়িতে ছিলেন।প্রচণ্ড বাতাসে ঘর ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।”
এদিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তিন উপজেলার বোরো, পাট, ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আজাদ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করতে তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে সরকারিভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
এ কেমন সেলফি বেমো, বৃদ্ধাটি পুড়েই গেল দাউদাউ আগুনে!
চলছে ইসরাইল ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা