আওয়ার ইসলাম : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ফেনীর মুহুরীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিত্য এ জটে পড়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। যার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতেও।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) সকালে তৈরি হওয়া যানজট ভোরের দিকে কিছুটা কমলেও, শুক্রবার (১১ মে) সকাল থেকে তা আরো প্রকট আকার ধারণ করে।
পরিবহন চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কের ফেনী অংশ পার হতে সময় লাগছে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এ রাস্তাটুকু পার হতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট।
শাহ আলম নামের এক কাভার্ডভ্যান চালক বলেন, সকাল ৮টা থেমে মহাসড়কের এ অংশে আটকে আছেন তিনি। ফতেহপুর থেকে লালপোল পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময়।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ফেনীর ফতেহপুর এলাকার রেলওয়ে ক্রসিংয়ের ওভারপাস নির্মাণ কাজের কারণেই তৈরি হচ্ছে এ যানজট। পরিবহন মালিক, চালক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ক্রসিংয়ের ওভারপাস নির্মাণ কাজ শুরুর আগে দুইপাশে বাইপাস নির্মাণ করার বিধান থাকলেও শুধু একপাশে তা রয়েছে।
সেই পাশ ও প্রায় ৬০০ মিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা, যা যান চলাচলের অনুপযোগী। এই ৬০০ মিটারের জন্য মহাসড়কের ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট লেগেই থাকে।
অপরদিকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার হওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর পুরাতন সড়ক দেওয়ানগঞ্জ হয়ে ট্রাংক রোড দিকে চট্টগ্রামমুখি সড়কটিরও নির্মাণ কাজ চলছে। দেওয়ানগঞ্জ, বিসিক সড়ক, শহীদ মেজর সালাউদ্দিন সড়কেরও বেহাল দশা। যার ফলে মহাসড়ক পার করতেই ব্যয় হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
মহীপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আউয়াল জানান, একেতো ফতেহপুরের ওভারপাসের নির্মাণ কাজ, এর সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। যাতে
নিখোঁজের তিনদিন পর মাদরাসা কেরানির মরদেহ উদ্ধার
নীলফামারীতে কালবৈশাখী তাণ্ডব : নিহত ৭ আহত অন্তত ৫০