আওয়ার ইসলাম : আগামী ১৪ মে’র জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে মৃত্যুদণ্ড ও সমকাম বিষয়ে শক্ত অবস্থান নেবে বাংলাদেশ। ওইদিন বাংলাদেশের মানবাধিকার রিপোর্ট ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিও’-এর শুনানি হবে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডব্যবস্থা সচল থাকা এবং সমকামীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হবে ওই কাউন্সিলে।
এছাড়াও বাংলাদেশের নারী অধিকার, নারী নির্যাতন, বাক স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের অধিকার, পুলিশি নির্যাতন, বিচার-বহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রশ্নের জবাব দেবে সরকার।
এ বিষযে একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে আমরা মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করবো না কিন্তু নিরপরাধীরা যাতে এর শিকার না হয় তার ব্যবস্থা আমাদের সিস্টেমে আছে।
সমকামীদের অধিকার বিষয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর ৩৭টি দেশ এটি সমর্থন করে না এবং আমাদের সমাজও সমকামীদের সমর্থন করে না। আমরা আমাদের সমাজের মূল্যবোধের বিপক্ষে কিছুতেই যাব না।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ওই শুনানিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পর্যালোচনায় র্যার্পোর্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করবে রুয়ান্ডা, আফগানিস্থান ও ইউক্রেন।
এরই মধ্যে জার্মানি ও উরুগুয়ে বিচার-বহির্ভূত হত্যা, খসড়া আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা, গুম ও নির্যাতন, জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি নিয়ে আগাম প্রশ্ন করেছে যেগুলোর উত্তর বাংলাদেশকে দিতে হবে।
এ বিষযে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেকের অভিযোগ আছে এবং আমরা তাদের অভিযোগের জবাব দিতে প্রস্তুত।’
সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে ২০১৩-১৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানবাধিকার সাফল্য ও চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় রিপোর্ট জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে জমা দিয়েছিল। তারই শুনানি হবে ১৪ মে।
২৮ জুনের মধ্যে ভোট হচ্ছে গাজীপুরে, স্থগিতাদেশ বাতিল
পরমাণু অস্ত্র বিষয়ে ইরানকে ছাড় নয় : সৌদি